সুপ্রিম কোর্ট জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি তোলার জন্য একটি ‘ডেডলাইন’ নির্ধারণ করেছে। রাজ্য সরকারকে মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে তাদের দাবি মেনে নিতে হবে, নাহলে ডাক্তাররা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবে। তারা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের বিচার চান এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্নীতি দূর করার দাবি তুলেছেন। বৃহস্পতিবার, জুনিয়র ডাক্তাররা স্বাস্থ্যভবন অভিযানের ডাক দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না যতক্ষণ না তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। ডাক্তারদের দাবি, প্রাক্তন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাজনিত পদক্ষেপ এবং কিছু কর্মকর্তার সাসপেনশন।
সুপ্রিম কোর্ট জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি তোলার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করেছে। এর পর, আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা রাজ্য সরকারকে পাল্টা একটি সময়সীমা দিয়েছেন। সোমবার রাত ১১ টায় সাংবাদিক বৈঠকে তারা জানালেন, তাদের পাঁচটি দাবি পূরণ না হলে মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। তারা জানান, স্বাস্থ্যভবনে একটি অভিযানও করবেন এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার বিচার চান।
কাজে ফেরা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শীর্ষ আদালত জানিয়েছেন, জুনিয়র ডাক্তারদের মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে কাজে ফিরতে হবে। রাজ্য সরকারকে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেওয়া হবে না, যতক্ষণ না তাদের সুরক্ষা এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়।
জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি
জুনিয়র ডাক্তারদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে: ১) আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাজনিত পদক্ষেপ করা। ২) মুখ্যমন্ত্রীর উৎসবে ফেরার বক্তব্যের বিরুদ্ধে তাঁরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন, কারণ তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর এ ধরনের বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করছেন তারা।
প্রশ্ন ১: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের কারণ কি?
উত্তর: জুনিয়র ডাক্তাররা তাদের দাবি পূরণের জন্য আন্দোলন করছেন, যেমন বেতন বৃদ্ধি এবং কাজের পরিবেশের উন্নতি।
প্রশ্ন ২: তাদের দাবিগুলি কি?
উত্তর: তাদের প্রধান দাবিগুলি হলো বেতন বৃদ্ধি, নিরাপদ কাজের পরিবেশ এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জাম।
প্রশ্ন ৩: আন্দোলন কতদিন চলবে?
উত্তর: জুনিয়র ডাক্তাররা ঘোষণা করেছেন, ১৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি তাদের দাবি পূরণ না হয়, তবে তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন।
প্রশ্ন ৪: আন্দোলনের সময় রোগীদের কি হবে?
উত্তর: আন্দোলনের কারণে কিছু পরিষেবা প্রভাবিত হতে পারে, তাই রোগীদের নিরাপত্তা এবং চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন ৫: ডাক্তারদের এই আন্দোলনে সরকারের প্রতিক্রিয়া কি?
উত্তর: সরকার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে এবং ডাক্তারদের দাবি পূরণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছে।