আরজি কর হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যা করার পর হাসপাতালের দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। সিবিআই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে জানিয়েছেন, গত এক মাসে ৬ লক্ষ মানুষ চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এবং ২৩ জন রোগী মারা গেছেন। জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে রয়েছেন, তবে মুখ্যমন্ত্রী তাদের কাজে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সিবিআই দ্রুত তদন্ত করে বিচার করুক এবং ডাক্তারদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। ডাক্তারদের কাজে ফিরতে বলার পাশাপাশি তিনি সাধারণ মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর প্রতিক্রিয়া
কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পর হাসপাতালের দুর্নীতি সামনে এসেছে। সিবিআই এই ঘটনায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ প্রশাসনিক বৈঠকে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের স্বাস্থ্যসেবা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি জানান, গত এক মাসে ৬ লক্ষ মানুষ চিকিৎসা পাননি এবং ২৩ জন রোগী মারা গিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফিরতে আহ্বান জানান এবং বলেন, ‘আপনারা যদি কোনো অভিযোগ করেন, তাহলে আমার কাছে আসতে পারেন।’ আন্দোলনরত ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘সিবিআইকে দ্রুত তদন্ত করে বিচার দিতে বলেছি। আমাদের হাতে কিছু নেই, সবকিছু সিবিআইয়ের হাতে আছে।’
এই ঘটনার পর কলকাতা পুলিশ মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করেছে, এবং সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর ডাক্তারদের কাজে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আগামী উৎসবে চিকিৎসা ব্যবস্থা যেন বিঘ্নিত না হয়, সেই দিকে নজর দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ‘আমি নির্যাতিতার পরিবারকে টাকার কথা বলিনি’, নবান্ন থেকে সাফ জানালেন মমতা
প্রশ্ন ১: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন কেন হচ্ছে?
উত্তর: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন তাদের বিভিন্ন দাবি যেমন নিরাপত্তা, বেতন বৃদ্ধি এবং কাজের পরিবেশের উন্নতির জন্য হচ্ছে।
প্রশ্ন ২: আন্দোলনের কারণে স্বাস্থ্য পরিষেবায় কি সমস্যা হচ্ছে?
উত্তর: আন্দোলনের কারণে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা কমে যাচ্ছে এবং রোগীদের চিকিৎসা নিতে সমস্যা হচ্ছে।
প্রশ্ন ৩: স্বাস্থ্য সচিব মুখ্যমন্ত্রীকে কি তথ্য দিয়েছেন?
উত্তর: স্বাস্থ্য সচিব মুখ্যমন্ত্রীকে আন্দোলনের প্রভাব এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন।
প্রশ্ন ৪: সরকার কি পদক্ষেপ নিচ্ছে?
উত্তর: সরকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য আলোচনা এবং সমাধানের চেষ্টা করছে।
প্রশ্ন ৫: রোগীরা কি করতে পারেন?
উত্তর: রোগীদের উচিত হাসপাতালের পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য রাখা এবং জরুরি চিকিৎসার জন্য অন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা।