জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গোটা বাংলার সাধারণ মানুষ সরব হয়ে উঠেছে। হুগলির কোন্নগরের এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে ডাক্তারদের আন্দোলনের কারণে ২৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময়, চিকিৎসকদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকলে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে বলে জানানো হয়েছে। কোন্নগরের যুবক বিক্রম ভট্টাচার্যের মৃত্যুর অভিযোগে সেখানকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, তাঁকে যথাসময়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন আন্দোলন চলছে, যেখানে ‘জাস্টিস ফর কোন্নগর’ স্লোগান উঠেছে। চিকিৎসকরা এখনও হুমকি পাওয়ার অভিযোগ করছেন।
আরজি কর কাণ্ডে উত্তাল বাংলা: জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এবং রোগীদের মৃত্যু
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গোটা বাংলার লাখ লাখ সাধারণ মানুষ ও জুনিয়র ডাক্তাররা সরব। রাজনৈতিক আলোচনা ভুলে অনেকেই জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে বিভিন্ন মিছিলে যোগ দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন। সম্প্রতি হুগলির কোন্নগরের যুবক বিক্রম ভট্টাচার্যের মৃত্যু এই আন্দোলনকে ঘিরে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। সুপ্রিম কোর্টে আজ শুনানির সময় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ডাক্তারদের আন্দোলনের কারণে ২৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৬,০০০ রোগী চিকিৎসা পাননি। এই সময়ে কিছু জায়গায় অভয়া ক্লিনিক চালু করা হয়েছে, তবে পরিস্থিতি এখনও সংকটজনক।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, যদি চিকিৎসকরা অবিলম্বে কাজে যোগ দেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। তবে, যদি আন্দোলন চলতে থাকে, তাহলে রাজ্য সরকার নিজে থেকেই পদক্ষেপ নিতে পারে। চিকিৎসকদের আইনজীবী জানান, আন্দোলনে যোগ দেওয়া চিকিৎসকদের এখনও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
কোন্নগরের যুবকের মৃত্যুর প্রতিবাদে গত রাতে কোন্নগরে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ‘জাস্টিস ফর কোন্নগর’ স্লোগান উঠেছে। রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধ সত্ত্বেও চিকিৎসকরা কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন এবং এর ফলে রোগীর মৃত্যু ঘটেছে।
বিক্রম ভট্টাচার্যের ঘটনা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে যে, তাঁর চিকিৎসায় অবহেলা করা হয়েছে। প্রথমে তাঁকে শ্রীরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছানোর পর অন্তত দুই ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় ছিলেন তিনি। এদিকে আরজি কর হাসপাতালের এমএসভিপি দাবি করেছেন, তাঁদের কাছে চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় নথি রয়েছে।
প্রশ্ন ১: ডাক্তারদের আন্দোলনে কতজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে?
উত্তর: ডাক্তারদের আন্দোলনে ২৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
প্রশ্ন ২: রাজ্য সরকার এই পরিস্থিতিতে কি বলেছে?
উত্তর: রাজ্য সরকার বলেছে যে, ডাক্তারদের আন্দোলনের কারণে ২৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
প্রশ্ন ৩: সুপ্রিম কোর্ট ডাক্তারদের কি নির্দেশ দিয়েছে?
উত্তর: সুপ্রিম কোর্ট ডাক্তারদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রশ্ন ৪: ডাক্তারদের আন্দোলনের কারণ কি?
উত্তর: ডাক্তারদের আন্দোলনের কারণ বিভিন্ন দাবি ও তাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ।
প্রশ্ন ৫: রোগীদের জন্য এখন কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?
উত্তর: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ডাক্তারদের কাজে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে যাতে রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা পাওয়া যায়।