উৎকর্ষ আনন্দ
হিমাচল প্রদেশ কলেজিয়ামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দুজন বিচারপতিকে হাইকোর্টে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। তবে, সুপ্রিম কোর্ট এই সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়েছে। বিচারপতি হৃষিকেশ রায় ও বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়েছে, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আলোচনা ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে কলেজিয়ামকে পুনরায় ওই বিচারকদের নাম বিবেচনা করতে হবে। আবেদনকারীরা অভিযোগ করেছেন যে তাদের যোগ্যতা এবং সিনিয়রিটি উপেক্ষা করা হয়েছে। এই রায়টি বিচারপতিদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের একটি উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
উৎকর্ষ আনন্দ
হিমাচল প্রদেশ কলেজিয়ামের পক্ষ থেকে সম্প্রতি দুটি জেলা বিচারপতির হাইকোর্টে পদোন্নতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে, সুপ্রিম কোর্ট এই সিদ্ধান্তকে প্রথমবারের মতো খারিজ করে দিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের বেঞ্চ এই বছরের শুরুতে কলেজিয়ামের বাছাই প্রক্রিয়া বাতিল করে বিচারপতিদের আবেদনটি মঞ্জুর করেছে। বেঞ্চ জানিয়েছে, কলেজিয়ামের সিদ্ধান্ত আলোচনার অভাবে কলুষিত হয়েছে, কারণ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি স্বতন্ত্রভাবে দুই জেলা বিচারপতির নাম পুনর্বিবেচনা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে হাইকোর্টের কলেজিয়াম এখন নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে দুই জেলা বিচারকের নাম পুনর্বিবেচনা করতে হবে। এই রায়টি বিচারপতি কলেজিয়ামের সিদ্ধান্তে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বিলাসপুরের জেলা বিচারক চিরাগ ভানু সিং এবং সোলানের অরবিন্দ মালহোত্রা মে মাসে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, অভিযোগ করে যে হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের কলেজিয়াম তাদের যোগ্যতা ও সিনিয়োরিটি উপেক্ষা করেছে। তারা সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের একটি বিশেষ সুপারিশের ভিত্তিতে হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে তাদের নাম বিবেচনা করার জন্য আবেদন করেছিলেন।
আবেদনে তারা জানান, হাইকোর্ট কলেজিয়ামের পদক্ষেপগুলি তাদের সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে। তারা দাবি করেছেন যে হাইকোর্টের কলেজিয়াম কর্তৃক গৃহীত প্রক্রিয়াটি ‘পদ্ধতিগতভাবে কলুষিত’ এবং সাংবিধানিক রীতির বিরোধী।
এই ঘটনাটি বাংলাদেশের বিচার বিভাগে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এবং এটি আদালতের প্রশাসনিক কার্যক্রমের ওপর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।
কলেজিয়ামের সিদ্ধান্ত কী ছিল?
কলেজিয়ামের সিদ্ধান্ত ছিল যে কিছু বিশেষ বিষয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট কেন কলেজিয়ামের সিদ্ধান্ত খারিজ করল?
সুপ্রিম কোর্ট মনে করেছে, কলেজিয়ামের সিদ্ধান্ত আইন অনুযায়ী সঠিক নয় এবং এটি শিক্ষার্থীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
এই ঘটনা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি প্রথমবারের মতো সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়ামের সিদ্ধান্তকে খারিজ করেছে, যা আইনগত প্রক্রিয়ায় নতুন নজির স্থাপন করেছে।
এখন শিক্ষার্থীদের জন্য কি পরিবর্তন আসবে?
এই রায়ের ফলে শিক্ষার্থীরা তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন নিয়মাবলীর সুবিধা পাবে এবং তাদের অধিকার রক্ষা হবে।
ভবিষ্যতে কি কলেজিয়াম আবার এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে?
হ্যাঁ, কলেজিয়াম আবার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, তবে তাদের সিদ্ধান্তগুলি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে।