গত পাঁচ বছর ধরে কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজের বাড়িতে গণেশপুজো হচ্ছে। এবার তাঁদের প্রথম গণেশ চতুর্থী। পুজোর আয়োজন শুরু হয় সকাল থেকে, তবে শ্রীময়ী একা সব দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে জানান, পুজো ঘরোয়া পরিবেশে করা হয়েছে। শ্রীময়ী বলেছেন, তিনি গণেশের কাছে প্রার্থনা করেছেন একটি সুস্থ পৃথিবীর জন্য। পরিবার পরিকল্পনার বিষয়ে কিছু চাইছেন না, কারণ বিয়ের পর কাজের ব্যস্ততার জন্য সময় পাননি। শ্রীময়ী ভোগ রান্নার কাজেও সমস্যা অনুভব করেছেন, কারণ পুরোহিতের আসতে দেরি হয়েছে এবং আগের রাঁধুনি অসুস্থ। কাঞ্চন বর্তমানে ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।
গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে কাঞ্চন-মল্লিক দম্পতির বিশেষ আয়োজন
গত পাঁচ বছর ধরে কাঞ্চনের বাড়িতে গণেশপুজো হয়। কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজের বিয়ের পরে এটাই তাঁদের প্রথম গণেশ চতুর্থী। সকাল থেকেই শুরু হয়েছিল পুজো। তবে লোকজনের অভাব তাই একা হাতেই ভগবান গণেশের মূর্তি আনা থেকে শুরু করে ভোগ রান্না সবটাই সামলেছেন অভিনেত্রী শ্রীময়ী। পুজোর সমস্ত জোগাড়ও সেরেছেন তিনি।
পুজোর আয়োজন নিয়ে শ্রীময়ী আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সকাল থেকে পুজো চলছে। কাঞ্চন হোমযজ্ঞে যোগ দিয়েছেন। ভোগ নিবেদন করা হয়েছে। কাছের আত্মীয়দের নিয়ে খুব ঘরোয়া ভাবে আয়োজন করা হয়েছে সবটা।’
শ্রীময়ী গণেশের কাছে কী প্রার্থনা করেছেন সে প্রসঙ্গে জানান, ‘একটা সুস্থ পৃথিবী চাই যাতে, আমরা সকলে সুখে, শান্তিতে থাকতে পারি। সকলের মুখে যেন হাসি থাকে। কাউকে যেন চোখের জল ফেলতে না হয়। সবাই যেন সপরিবার সুস্থ থাকতে পারি।’ পরিবার পরিকল্পনার বিষয়ে কোনও আশীর্বাদ চেয়েছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ঈশ্বরের কাছে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য কিছু চাইছি না। কারণ, এর জন্য তো কাঞ্চনকে কিছুটা সময় দিতে হবে।’
শ্রীময়ী অভিযোগ করেন, ‘এবার আসলে মা-ও ভোগ রান্না করতে পারেনি। কাল রাতে মায়ের এক দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে যেতে হয়েছে। আর আমার বাড়িতে আগে এক বৈষ্ণব রাঁধুনি ছিলেন। তাঁর শরীর খারাপ বলে চলে গিয়েছেন। এ বার এক অল্পবয়সি রাঁধুনি এসেছেন, তিনি তেমন অভিজ্ঞ নন। তাই সবটা আমাকে নিজেকেই করতে হয়েছে।’ সব কাজ সামাল দিতে গিয়ে তিনি নিজেই প্রস্তুত হয়ে উঠতে পারেননি।
এ ছাড়া, কিছু দিন আগে দম্পতি জন্মাষ্টমীতেও গোপালের পুজো করেছেন। কাঞ্চনের কাজের প্রসঙ্গে শ্রীময়ী জানান, কাঞ্চন বর্তমানে তাঁর ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত। তিনি নাকি বেরিয়ে যান দুপুর দুটোয় আর ফেরেন ভোর সাড়ে পাঁচটা-ছটায়।
শ্রীময়ী কেমন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করছেন কাঞ্চনের জন্য?
শ্রীময়ী বললেন যে কাঞ্চনের জন্য সে ভালো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করছে এবং তারা একসাথে খুব ভালোভাবে ভবিষ্যৎ গড়তে চায়।
বিয়ের পর কাঞ্চনের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হয়েছে?
বিয়ের পর শ্রীময়ী এবং কাঞ্চনের সম্পর্ক অনেক মজবুত হয়েছে, তারা একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করছেন।
শ্রীময়ী কি কাঞ্চনকে নিয়ে চিন্তিত?
শ্রীময়ী কিছুটা চিন্তিত, তবে সে বিশ্বাস করে যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
কাঞ্চনের ভবিষ্যৎ নিয়ে শ্রীময়ীর কি আশা?
শ্রীময়ী আশা করছেন যে কাঞ্চন তার স্বপ্ন পূরণ করবে এবং তারা একসাথে সুখী হবে।
শ্রীময়ী কি কাঞ্চনের পাশে থাকতে চান?
হ্যাঁ, শ্রীময়ী কাঞ্চনের পাশে থাকতে চান এবং তাকে সমর্থন দিতে প্রস্তুত।