আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রাজ্যে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়েছে। নাগরিক সমাজ ও ছাত্ররা “উই ওয়ান্ট জাস্টিস” স্লোগান নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের গ্রেফতারের পর রাজ্য সরকার সিভিক ভলান্টিয়ারদের আইন ও শৃঙ্খলা বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিচ্ছে। ৪৫ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ শুরু হবে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে, যেখানে জরুরি পরিস্থিতিতে কি করতে হবে এবং আইন সম্পর্কে বিস্তারিত পাঠ দেওয়া হবে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের আচরণ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে, তাই তাদের প্রশিক্ষণ আরও কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক হত্যার পর সিভিক ভলেন্টিয়ারদের প্রশিক্ষণ
আরজি কর হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, যা নিয়ে গোটা রাজ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। জুনিয়র ডাক্তার, নাগরিক সমাজ এবং ছাত্রসমাজের সদস্যরা রাজপথে নেমে আন্দোলন করছেন এবং স্লোগান দিচ্ছেন—‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। এই ঘটনার পর, রাজ্য সরকার সিভিক ভলেন্টিয়ারদের আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়, যিনি একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার, তার কুকর্মের জন্য রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
সিভিক ভলেন্টিয়ারদের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে, জরুরি পরিস্থিতিতে কীভাবে কাজ করতে হবে এবং কোন কাজ করা উচিত নয়, সে সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়া, আইন সংক্রান্ত বিভিন্ন ধারার উপরও পাঠ দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো সিভিক ভলেন্টিয়ারদের আরও সক্রিয় এবং কার্যকরী করা। শহর থেকে গ্রামবাংলা, সর্বত্রই তাদের সক্রিয় করা হবে।
রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশ সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ৪৫ দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেবে, যা শুরু হবে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে। নবান্ন অভিযানের সময় ছাত্র সমাজের মিছিল থেকে হামলার ঘটনা ঘটেছিল, তাই সেই ধরণের পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্যও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতারের পর, তার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত চলছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিভিক ভলেন্টিয়ারদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে দিয়েছেন। এ ছাড়াও, তাদের অবসরকালীন ভাতা বাড়ানো হয়েছে এবং দুর্গাপুজোর বোনাসও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে জনমত এখন কেমন আছে? পরিস্থিতি বুঝতে জেলায় অভিষেকের প্রতিনিধি
১. সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য কি?
প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য হল সিভিক ভলান্টিয়ারদের আইনের বিষয়ে জ্ঞান বৃদ্ধি করা এবং তাদের কার্যক্রমকে আরও কার্যকরী করা।
২. প্রশিক্ষণটি কোথায় অনুষ্ঠিত হবে?
প্রশিক্ষণটি নবান্নে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ভলান্টিয়াররা বিশেষ ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
৩. প্রশিক্ষণে কোন বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে?
প্রশিক্ষণে আইনের পাঠ, সামাজিক সেবা এবং কমিউনিটি উন্নয়ন বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য দেওয়া হবে।
৪. প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য কি কোন যোগ্যতা প্রয়োজন?
যে কেউ সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করছে, তারা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
৫. প্রশিক্ষণ শেষ হলে কি ধরনের সনদ দেওয়া হবে?
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের একটি সনদ প্রদান করা হবে, যা তাদের দক্ষতা এবং জ্ঞানকে স্বীকৃতি দেবে।