রাজ্যে করোনাকালে স্বাস্থ্য দফতরে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রের PM কেয়ারের অর্থ ঘুরপথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের পরিবারের কাছে পৌঁছেছে। শুভেন্দু বলেন, ২০২০ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল, কিন্তু রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সামগ্রী কেনার জন্য স্বাস্থ্য করপোরেশনকে দরপত্র করতে না দিয়ে ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এভাবে স্বাস্থ্য দফতরে কোটি কোটি টাকা তছনছ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রাজ্যে করোনা কালে স্বাস্থ্য দফতরের দুর্নীতি নিয়ে শুভেন্দুর অভিযোগ
করোনা মহামারির সময় রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, এমনটাই দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় দলের রাজ্য সদর দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেন যে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কেন্দ্রের পাঠানো PM কেয়ার ফান্ডের বরাদ্দ অর্থ ঘুরপথে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের পরিবারের হাতে চলে গেছে।
শুভেন্দু বলেন, “২০২০ সালে পিএম কেয়ারের ২,২০০ কোটি টাকা নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছিল। কিন্তু সেই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। রাজ্যপালও রিপোর্টটি চেয়েছিলেন, কিন্তু তাঁকেও দেওয়া হয়নি।” তিনি আরও বলেন, “কোভিড-১৯ এর সময় স্বাস্থ্য দফতরের মাধ্যমে জিনিস কেনার জন্য যে দুর্নীতি হয়েছে, তা সত্যিই উদ্বেগজনক।”
তিনি উল্লেখ করেন, স্বাস্থ্য করপোরেশনকে দরপত্রের কাজ না দিয়ে ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের হাতে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়। রাজীব সিনহা এবং রাজেশ সিনহার নেতৃত্বে তন্তুজ নামক সংস্থা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে, যা রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন।
শুভেন্দুর বক্তব্য, “জ্বর মাপার মেশিনগুলো বাজারের তুলনায় ৪-৫ গুণ বেশি দামে সরবরাহ করা হয়েছে। এভাবে কোটি কোটি টাকা তছনছ হয়েছে।” রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের এই দুর্নীতি নিয়ে তিনি সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানান।
এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসী জানতে চান, শেষ পর্যন্ত এই দুর্নীতির মূল হোতা কারা এবং তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য দফতরের চুরি কি?
স্বাস্থ্য দফতরের চুরি মানে হলো সরকারি স্বাস্থ্য সুবিধা বা তহবিলের অপব্যবহার বা চুরি করা।
এটি কেন সমস্যা?
এটি সমস্যার কারণ কারণ স্বাস্থ্য সেবা কমে যায় এবং মানুষের জীবনযাত্রার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
কীভাবে এটি প্রতিরোধ করা যায়?
এটি প্রতিরোধ করতে হলে সঠিক নজরদারি এবং প্রতিবেদন ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে।
জনসাধারণের কী ভূমিকা আছে?
জনসাধারণকে সচেতন থাকতে হবে এবং কোন দুর্নীতি দেখলে তা প্রশাসনকে জানাতে হবে।
চুরি ও দুর্নীতি কি শাস্তিযোগ্য অপরাধ?
হ্যাঁ, স্বাস্থ্য দফতরের চুরি ও দুর্নীতি শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং এর জন্য কঠোর শাস্তি রয়েছে।