বিজেপির বনধের সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার কারণে আমতার এক প্রধান শিক্ষিকাকে শোকজ করা হয়েছে। নিতু সাহা নামের ওই শিক্ষিকা, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বিদ্যালয়ে যোগ দেননি এবং ছাত্রীর সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শিক্ষা দফতর থেকে তাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, যেখানে তার অনুপস্থিতির কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। তিনি বনধের সমর্থনে অনড় রয়েছেন এবং জানান, নারীদের নিরাপত্তার দাবিতে তিনি প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন। বনধের সময় বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল এবং স্কুলের ছাত্রদের বাড়ি ফেরার জন্য বিজেপি অনুরোধ করেছিল।
বিজেপির বনধে স্কুল শিক্ষিকার শোকজ: নারীদের সুরক্ষার দাবিতে প্রতিবাদ
নবান্ন অভিযানের পরপরই বিজেপি ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দেয়, যার ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ও অবরোধের ঘটনা ঘটে। বনধের সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে আমতার উদং উত্তরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিতু সাহা স্কুলে উপস্থিত না হওয়ায় শোকজ করা হয়েছে। সরকারী নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তিনি বনধের সমর্থনে অবস্থান নেন। নিতু সাহা জানান, “নারীদের নিরাপত্তার দাবিতে আমি এই বনধকে সমর্থন করেছি” এবং ভবিষ্যতে তিনি প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন।
শিক্ষক দিবসে জেলা শিক্ষা দফতর থেকে শোকজ পাওয়ার পরে তিনি জানান, “এই নোটিশের জন্য আমি শিক্ষা দফতরকে ধন্যবাদ জানাই।” জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান বলেছেন, শোকজের উত্তর পাওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিজেপির বনধকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, যেখানে স্কুল বাসে পড়ুয়াদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল।
প্রশ্ন ১: বনধে সমর্থন দেওয়ার জন্য শিক্ষিকার শাস্তি কেন?
উত্তর: শিক্ষিকার বনধকে সমর্থন করার কারণে শিক্ষা দফতর তাকে শোকজ করেছে, কারণ এটি সরকারের নির্দেশনার বিরুদ্ধে।
প্রশ্ন ২: শোকজ মানে কি?
উত্তর: শোকজ মানে হলো শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানানো হয়েছে এবং তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন ৩: শিক্ষিকার কি ধরনের শাস্তি হতে পারে?
উত্তর: শিক্ষিকার শাস্তি হতে পারে সতর্কীকরণ, বরখাস্ত করা অথবা অন্য কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া।
প্রশ্ন ৪: শিক্ষিকা কি এর বিরুদ্ধে কিছু করতে পারবেন?
উত্তর: হ্যাঁ, শিক্ষিকা শোকজের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারেন অথবা ব্যাখ্যা দিতে পারেন।
প্রশ্ন ৫: এই ঘটনার প্রভাব কি হবে শিক্ষার উপর?
উত্তর: এই ঘটনার ফলে স্কুলের পরিস্থিতি এবং শিক্ষকদের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, যা শিক্ষার মানকে প্রভাবিত করতে পারে।