রাজ্যে আরজি কর নিয়ে তোলপাড় চলছে, আর সাধারণ মানুষ আন্দোলনে নামছেন। এই পরিস্থিতিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক ডাকলেন। বৈঠকটি ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে রাজ্যের সব দফতরের মন্ত্রী ও সচিবদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পুলিশ বিভাগের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হবে, যা বর্তমানে জনসাধারণের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলছে, এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। তাই এই বৈঠকটি রাজনৈতিক মহলে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে, সবাই মমতার নির্দেশনার দিকে নজর রাখছেন।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক: আরজি কর নিয়ে উত্তাল পরিস্থিতি
আরজি কর নিয়ে গোটা দেশে তোলপাড় চলছে। রাজ্য সরকার অস্বস্তিতে পড়ছে এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। এদিকে, সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন মাথাচাড়া দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে একটি প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক ডাকলেন।
এই বৈঠকে রাজ্যের সব দফতরের কর্তাদের উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে। বৈঠকটি আগামী ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত হবে। নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও উল্লেখ্য, বৈঠকের পরদিন অর্থাৎ ১০ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকও হবে।
গত ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে এই ধরনের পর্যালোচনা বৈঠক আর হয়নি। এখন আবার গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে।
বৈঠককে ঘিরে ইতিমধ্যেই নানা মহলে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। সকলেই অপেক্ষা করছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে কী ধরনের নির্দেশ আসে এবং আলোচনা কেমন হয়। মূলত দুইটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ—স্বাস্থ্য দফতর এবং পুলিশ বিভাগ। দুই দফতরই মমতার নজরদারিতে রয়েছে। তাই এই দফতরের ভূমিকা নিয়ে কি বক্তব্য থাকবে, সেটাই দেখার বিষয়।
আরজি কর কাণ্ডের কারণে জনতার রোষ ক্রমেই বাড়ছে, ফলে সরকার অস্বস্তিতে পড়ছে। চিকিৎসক, অভিনেতা, এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এলো। অনেকেই পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন। ইতিমধ্যে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের ইস্তফার দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা সরব হয়েছেন।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছে। বিরোধী দলের নেতা লিখেছেন, ‘পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আপনি পদত্যাগ করুন, কারণ মহিলাদের নিরাপত্তা নেই।’ এই সমস্যার সমাধানের জন্য একজন দক্ষ প্রশাসকের প্রয়োজন বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন নবান্নে পর্যালোচনা বৈঠক ডাকলেন?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের পরিস্থিতি এবং আরজি করের বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে নবান্নে বৈঠক ডাকলেন।
আরজি কর নিয়ে তৃণমূলের চাপ কেন?
আরজি করের উপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ বেড়ে যাওয়ায় তৃণমূলের উপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হবে?
বৈঠকে আরজি করের সমস্যার সমাধান, রাজ্যের উন্নয়ন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
এই বৈঠক থেকে কী প্রত্যাশা করা হচ্ছে?
বৈঠক থেকে সমস্যা সমাধানের একটি স্পষ্ট পথনির্দেশনা পাওয়া যেতে পারে, যা তৃণমূলের জন্য সহায়ক হবে।
বৈঠকের ফলাফল কিভাবে জানানো হবে?
বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফলাফল ও সিদ্ধান্ত জানাবেন।