সালিশি সভার নামে নারীদের নির্যাতন: পঞ্চায়েতের দায়িত্বহীনতায় প্রশ্ন উঠছে সমাজে

News Live

সালিশি সভার নামে নারীদের নির্যাতন: পঞ্চায়েতের দায়িত্বহীনতায় প্রশ্ন উঠছে সমাজে

ক্যানিংয়ে সম্প্রতি একটি সালিশি সভায় চারজন মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদের সমাধানের জন্য এই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে, পঞ্চায়েত মেম্বার রমজান মোল্লার নেতৃত্বে এই সভায় ভাইয়েরা বোনদের ওপর হামলা চালান। বিতর্কটি ১০ কাঠা জমির দখল নিয়ে ছিল, যেখানে জমির দলিল বোনদের নামে ছিল, কিন্তু ভাইদের নাম ছিল না। ঘটনাস্থলে হাতাহাতির পর হতাহত মহিলাদের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পর ক্যানিং থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে মালদার কালিয়াচকেও সালিশি সভায় মারধরের ঘটনা ঘটেছিল, যা বর্তমানে আলোচনার বিষয়।



ক্যানিংয়ে সালিশি সভায় মহিলাদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ

সম্প্রতি ক্যানিংয়ে একটি সালিশি সভায় চার মহিলাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদের সমাধানের উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত সভায়। অভিযোগ, পঞ্চায়েত মেম্বার রমজান মোল্লার নেতৃত্বে এই সালিশি সভা ডাকা হয়েছিল। সভার সময়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হলে তা মারপিটে রূপ নেয়। অভিযোগ রয়েছে, ভাইয়েরা বোনেদের মারধর করেছে। ফলস্বরূপ আহত মহিলাদের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে, ক্যানিং থানায় এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর আগে মালদার কালিয়াচকের সালিশি সভায়ও এক মহিলাকে মারধরের ঘটনা ঘটেছিল, যা সম্প্রতি মিডিয়ায় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি সমাজে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে এবং একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, কেন পঞ্চায়েত বৈধভাবে পারিবারিক বিরোধ মেটানোর দায়িত্ব নিচ্ছে।

এখন সকলের নজর এই ঘটনার পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। এর মাধ্যমে কি সমাজে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে আমাদের।

সালিশি সভা কি?

সালিশি সভা হচ্ছে একটি স্থানীয় সমাধান প্রক্রিয়া যেখানে সমাজের সদস্যরা সমস্যার সমাধান করেন।

কালিয়াচকের ঘটনাটি কি ছিল?

কালিয়াচকের ঘটনায় চারজন মহিলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, যা সালিশি সভার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

কীভাবে সালিশি সভা কাজ করে?

সালিশি সভায় স্থানীয় নেতারা এবং সমাজের সদস্যরা মিলিত হয়ে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করেন।

এই ধরনের নির্যাতন প্রতিরোধে কী করা উচিত?

এ ধরনের নির্যাতন প্রতিরোধে সমাজের সচেতনতা বাড়ানো এবং আইনি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

মহিলাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?

মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসন এবং সমাজের নেতাদের উদ্যোগে সচেতনতা এবং আইনগত সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন