ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে কেন্দ্র তৎপরতা বাড়াচ্ছে। সদ্য, মন্ত্রিসভার কমিটির অনুমোদনে সুখোই এমকেআই ৩০ এর জন্য ২৪০টি AL-31FP এয়ার ইঞ্জিন কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা হিন্দুস্তান এয়ারোনটিক্যালস লিমিটেড (HAL) থেকে সংগ্রহ করা হবে। এই ইঞ্জিনগুলি বায়ুসেনার কার্যক্রমে সহায়তা করবে এবং ৮ বছরের মধ্যে সরবরাহ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ইঞ্জিনের ৫৪ শতাংশ উপাদান দেশেই উৎপাদিত হবে। HAL পূর্বে 113 AL-31FP ইঞ্জিন সরবরাহ করেছিল এবং ভবিষ্যতে প্রায় ৯০০টি ইঞ্জিন প্রয়োজন হতে পারে। এছাড়া, HAL সুখোই ৩০ বিমানগুলোর উন্নয়নও করবে।
ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নতুন উদ্যোগ
ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা আরও শক্তিশালী করতে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। हाल ही में, মন্ত্রিসভার একটি কমিটির মাধ্যমে সুখোই এমকেআই ৩০ এর জন্য ২৪০টি এয়ারো ইঞ্জিন কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই ইঞ্জিনগুলো হিন্দুস্তান এয়ারোনটিক্যাল লিমিটেড (হ্যাল) থেকে কেনা হবে, যা ভারতের বায়ুসেনার প্রয়োজনীয়তা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, এই এয়ারো ইঞ্জিনগুলো AL-31FP মডেলের এবং আগামী বছর থেকে সরবরাহ শুরু হবে। ইঞ্জিন সরবরাহের প্রক্রিয়া ৮ বছর ধরে চলবে এবং এদের মধ্যে ৫৪ শতাংশ উপাদান দেশেই তৈরি হবে। উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে সুখোই বিমানগুলির সাথে কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে এদের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বর্তমানে, ভারতের বায়ুসেনা ২৬০টি সুখোই ৩০ বিমান পরিচালনা করছে এবং আরও ১২টি নতুন যুদ্ধবিমান পাবে।
এছাড়াও, সুখোই ৩০ এর জন্য এই ইঞ্জিনগুলি ওড়িশার হ্যালের কোরাপুট ডিভিশনে তৈরি হবে। প্রযুক্তি সম্পর্কিত সহায়তা রাশিয়া থেকে আসবে এবং কিছু কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করা হবে। এর আগে, হ্যালের কোরাপুট ডিভিশন ভারতীয় বায়ুসেনাকে ১১৩টি AL-31FP ইঞ্জিন সরবরাহ করেছে। হ্যালের অনুমান অনুযায়ী, IAF-এর পুরো Su-30 ফ্লিটের জন্য প্রায় ৯০০টি ইঞ্জিনের প্রয়োজন হবে।
এছাড়া, হ্যাল আরও কিছু সুখোই ৩০ বিমান উন্নত করতে পরিকল্পনা করেছে, যার খরচ হবে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এই উন্নয়নের অংশ হিসেবে বিমানগুলিতে নতুন মানের রাডার যুক্ত করা হবে। সম্প্রতি, HAL একটি নতুন হেলিকপ্টার ইঞ্জিনের নকশা, উন্নয়ন এবং উৎপাদনের জন্য SAFHAL এর সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
সুখোই ৩০ এর ইঞ্জিন কেনার উদ্দেশ্য কী?
বায়ুসেনা সুখোই ৩০ এর ইঞ্জিন কিনছে যাতে তাদের যুদ্ধবিমানগুলোর কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়।
এই ইঞ্জিন কেনার মোট ব্যয় কত?
এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ২৬ হাজার কোটি টাকা।
সরবরাহ কেমন সময়ের মধ্যে হবে?
এটি ৮ বছর ধরে সরবরাহ করা হবে।
এটি কেনা হলে কি সুবিধা হবে?
এই ইঞ্জিনের মাধ্যমে ভারতীয় বায়ুসেনা তাদের বিমানগুলোর আধুনিকীকরণ ও লড়াইয়ের ক্ষমতা বাড়াতে পারবে।
এই প্রকল্পের ফলে কি নতুন প্রযুক্তি আসবে?
হ্যাঁ, এই প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি ও উন্নত ইঞ্জিন প্রযুক্তি ভারতীয় বায়ুসেনায় যুক্ত হবে।