১৪ অগস্ট রাতে আরজি করে মেডিক্যাল কলেজে ভাঙচুরের ঘটনায় একটি তরুণী, রুমা দাস, গ্রেফতার হন। তার পরিবার দাবি করেছে যে, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তার কোনো ছবি নেই। তবে, পুলিশ জানিয়েছে যে ওই রাতে প্রচুর মানুষ নিয়ে হামলা চালানো হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টে রুমার গ্রেফতারের কারণ জানাতে রাজ্যকে ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর হবে মামলার পরবর্তী শুনানি। পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল, কিন্তু হঠাৎ করে তা হিংসাত্মক হয়ে ওঠে, যা পুলিশ বুঝতে পারেনি।
কলকাতা হাইকোর্টে তরুণীর গ্রেফতার নিয়ে প্রশ্ন
১৪ অগস্ট রাতে আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সেই রাতে অনেক মানুষ দলে দলে এসে হাসপাতালের ভেতরে ভাঙচুর শুরু করে। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অভিযোগে এক তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু তরুণীর দাবি, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তাহলে কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হলো?
মঙ্গলবার, বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ নির্দেশ দিয়েছেন, কেন ওই তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা আগামী ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে হবে। পরবর্তী শুনানি ৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
রুমা দাস নামে এই তরুণীর পরিবার হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিল। তাদের দাবি, সিসি ক্যামেরায় রুমার ছবি নেই, অথচ গ্রেফতার করা হলো। তিনি ওই রাতে ঘটনাস্থলে ছিলেন না। ১৫ অগস্ট ভোরে টালা সেতুর উপর থেকে রুমাকে গ্রেফতার করা হয়। পরিবারের দাবি, নিরীহ অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছিল যারা ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ছিলেন না।
কী ঘটেছিল সেই রাতে?
আরজি করের সেমিনারে এক মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছিল, যা নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়। ১৪ অগস্ট মধ্যরাতে ‘মেয়েদের রাত দখল’ কর্মসূচির সময় হাসপাতালের ভেতরে তাণ্ডব চালানো হয়। অভিযোগ, বাইরে থেকে অনেক লোক এসে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার, হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভাঙচুর চালায়। এই ঘটনায় বহু মানুষ আহত হন, যার মধ্যে পুলিশ কর্মীরাও ছিলেন।
কলকাতার পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, প্রথমে আন্দোলন শান্তিপূর্ণ মনে হলেও হঠাৎ করে তা হিংসাত্মক হয়ে ওঠে, যা পুলিশের কাছ থেকে অপ্রত্যাশিত ছিল। এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি করে না থাকা তরুণীকে কেন গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই বিষয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।
আরজি করার ভাঙচুরে তরুণী কেন গ্রেফতার হলেন?
তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়েছে কারণ পুলিশ তাকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হিসেবে চিহ্নিত করেছে, যদিও তার বিরুদ্ধে সরাসরি কোনো অভিযোগ নেই।
হাইকোর্ট কেন সরকারের কাছে রিপোর্ট চাইল?
হাইকোর্ট সরকারকে রিপোর্ট চাওয়ার কারণ হল পরিস্থিতির সঠিকতা বোঝা ও আইনগত প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা।
তরুণীর বিরুদ্ধে কি কোনো প্রমাণ আছে?
এখন পর্যন্ত তরুণীর বিরুদ্ধে কোনো দৃঢ় প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তবে তদন্ত চলছে।
এমন ঘটনা ঘটলে কি আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়?
হ্যাঁ, এমন পরিস্থিতিতে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়, যেখানে অবিচার বা ভুল গ্রেফতারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তরুণীর আইনজীবী কি কিছু বলেছে?
তরুণীর আইনজীবী বলেছেন যে গ্রেফতারটি অযৌক্তিক এবং তারা এটি চ্যালেঞ্জ করবেন আদালতে।