আরজি কর নিয়ে বামেরা মহামিছিল করছে, যেখানে বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম ও মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায়ের মতো নেতারা অংশ নিয়েছেন। তারা আরজি করের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এবং সম্প্রতি শ্যামবাজারে অবস্থান বিক্ষোভ করেছেন। এই মিছিলে লাল ও জাতীয় পতাকা উড়ছিল, যা নতুন প্রজন্মের নেতাদের উপস্থিতি নির্দেশ করে। সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, দোষীদের শাস্তি ও বিচার দাবি করা হচ্ছে। সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করার পর স্বাস্থ্য দফতর তাকে সাসপেন্ড করেছে। বাম নেত্রী দিপ্সীতা ধর জানান, যতদিন স্বাস্থ্য ও পুলিশ মন্ত্রী ক্ষমা না চান, আন্দোলন চলবে।
আরজি কর কাণ্ডে বামেরা শহরে মহামিছিল
আরজি কর নিয়ে একদিকে যেমন অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম থেকে নানা প্রতিবাদ হচ্ছে, তেমনি বাম-বিজেপিও তাদের মতো করে প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত করছে। সম্প্রতি, আরজি কর কাণ্ড নিয়ে মহামিছিল করল বামেরা। সেই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিমান বসু, মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় সহ বাম নেতা নেত্রীরা।
আরজি কর কাণ্ডের প্রথম থেকেই বামেরা তাদের মতো করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আরজি করের সামনেও অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। মঙ্গলবার বিকালে সেই একই ইস্যুতে জেগে উঠলেন বামেরা। রাজ্যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ, তবে বামেরা আরজি কর ইস্যুকে সামনে রেখে কার্যত ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে। মঙ্গলবার বিকালে শ্যামবাজারে নেতাজি মূর্তির সামনে রাস্তায় বসে পড়েন বাম নেতারা।
রাজাবাজার ট্রাম ডিপো থেকে আরজি কর মেডিক্যাল পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করেছিলেন বামেরা। মিছিলে লাল পতাকা যেমন ছিল, তেমনি জাতীয় পতাকাও দেখা গেছে, যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এই মিছিলে প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে নতুন প্রজন্মের নেতা নেত্রীরাও ছিলেন।
মিছিলে “ব্যর্থ প্রাণের আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলে আগুন জ্বালো” গানকে সামনে রেখে প্রতিবাদ করেন বামেরা। শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে বসে পড়ার ফলে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়।
সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের দাবি, আরজি কর কাণ্ডের দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি ও বিচারের দাবি জানাতে এই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আন্দোলনের চাপে প্রশাসন ভেঙে পড়ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমস্ত জেদ ফোঁস করে বেরিয়ে যাচ্ছে।
বাম নেত্রী দিপ্সীতা ধর বলেন, সন্দীপ ঘোষ তো মাথা নন। যে অভিযোগে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা দুর্নীতির তদন্তে। তিনি দাবি করেন, সন্দীপের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তাদের সবাইকে গ্রেফতার করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রী, পুলিশ মন্ত্রী ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।
তবে এসবের মধ্যে আশার খবর, অবশেষে সাসপেন্ড করা হল সন্দীপ ঘোষকে। গ্রেফতারির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর তাঁকে সাসপেন্ড করেছে। সিবিআই গ্রেফতার করতেই স্বাস্থ্য দফতর নড়েচড়ে বসল।
ফোঁসটা ফুঁস হয়ে গেছে, এর মানে কি?
ফোঁসটা ফুঁস হয়ে গেছে মানে বামেদের সমর্থনে নতুন উদ্যম এসেছে। তারা আবার সক্রিয় হতে চায়।
এই মিছিলে কি উদ্দেশ্য আছে?
মিছির উদ্দেশ্য হলো বামপন্থী আদর্শকে সমর্থন করা এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা।
মিছিলে কে কে অংশগ্রহণ করবে?
মিছিলে বামদলগুলোর নেতা-কর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করবে।
মিছিল কোথায় অনুষ্ঠিত হবে?
মিছিলটি সাধারণত শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অনুষ্ঠিত হয়, নির্দিষ্ট স্থান জানানো হবে।
মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য কি নিবন্ধন করতে হবে?
না, মিছিলে যোগ দেওয়ার জন্য কোনো নিবন্ধন প্রয়োজন নেই। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে।