জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন তুলে নিয়েছেন, তবে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। তাঁরা রাজপথ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেননি এবং ন্যায়বিচারের দাবি জোরালোভাবে জানাচ্ছেন। দেবাশিস হালদারের নেতৃত্বে সাংবাদিক বৈঠকে প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হয়েছে অভয়ার ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে। তদন্তে নানা প্রশ্ন তুলে ধরে ডাক্তাররা অভিযুক্তদের দ্রুত বিচার এবং তথ্যের স্বচ্ছতা দাবি করছেন। আগামী ৯ নভেম্বর অভয়ার স্মরণে বিভিন্ন কার্যক্রমের আয়োজন হবে, যেখানে জনসাধারণকে ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তাররা দৃঢ়তার সাথে বলছেন, যতদিন না অভয়ার ন্যায়বিচার হচ্ছে, ততদিন তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে নতুন মোড়
জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের অনশন তুলে নিয়েছেন, তবে আন্দোলন থেকে সরে আসেননি। তাঁরা এখনও রাজপথে রয়েছেন এবং নতুন প্রশ্ন তুলছেন।
শুক্রবার তাদের পক্ষ থেকে দেবাশিস হালদার সাংবাদিক বৈঠকে তদন্ত ও চার্জশিট নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। তিনি জানান, অভয়ার বিচার না পাওয়ার ৮৪ দিন পার হয়ে গেছে। দেশের সব জায়গায় মানুষ অভয়ার ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছে।
হালদার অভিযোগ করেন, কলকাতা পুলিশের তদন্তের নামে অপরাধ লোপাটের চেষ্টা চলছে। সিবিআই তদন্ত করছে, কিন্তু মামলার গতি খুব ধীর। চার্জশিটে অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে এবং সেখানকার তথ্যগুলো অস্পষ্ট।
তিনি প্রশ্ন করেন, অটোপসি রিপোর্টের স্যাম্পেল কেন এত দেরিতে ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হলো? এবং সঞ্জয় রায়ের জামাকাপড় তিন দিন পর কেন আনা হলো? এরকম আরও অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তাঁরা।
জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, ৯ই নভেম্বর আরজি কর হাসপাতালে ঘটনার তিন মাস পূর্ণ হবে, এবং তখন তাঁরা ‘দ্রোহের গ্যালারি’ প্রদর্শনী করবেন। এই প্রদর্শনীতে তাঁরা আন্দোলনের বিভিন্ন মুহূর্ত তুলে ধরবেন। পাশাপাশি, সেদিন রক্তদান শিবিরও আয়োজন করা হবে।
তাঁরা সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন, বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ করতে। অভয়ার ন্যায়বিচার তাঁদের প্রধান লক্ষ্য এবং তাঁরা রাজপথে থাকবেন, যতদিন না সেই ন্যায়বিচার পাওয়া যাচ্ছে।
দ্রোহের গ্যালারি কি?
দ্রোহের গ্যালারি হলো ডাক্তারদের একটি উদ্যোগ, যেখানে তারা তাদের সমস্যাগুলো তুলে ধরছে।
৯০ দিনে কি কি কর্মসূচি থাকবে?
৯০ দিনের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিবাদ, আলোচনা এবং সচেতনতা কার্যক্রম হবে।
ডাক্তারদের তদন্ত কেন হচ্ছে?
ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ওঠার কারণে তদন্ত চলছে।
এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য কি?
এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য হলো ডাক্তারদের অধিকার রক্ষা করা এবং স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন করা।
জনসাধারণ এই আন্দোলনে কিভাবে সাহায্য করতে পারে?
জনসাধারণ এই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে এবং সচেতনতা বাড়িয়ে সাহায্য করতে পারে।