চাকরি প্রতারণায় মৃত্যু: তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ

News Live

চাকরি প্রতারণায় মৃত্যু: তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ

বাঁকুড়ার কোতুলপুরে চাকরি দেওয়ার নামে ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে আত্মঘাতী হলেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ধর্মদাস মণ্ডল। ২০১৭ সালে তৃণমূল নেতা সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে টাকা দেন তিনি, কিন্তু চাকরি না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন। সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় পরে ধর্মদাসবাবুকে এড়িয়ে যেতে শুরু করেন এবং চাকরির আশা শেষ হলে টাকা ফেরতের দাবি জানালে হুমকি দিতে থাকেন। ঋণ শোধের চাপের কারণে জমি বিক্রি করতে বাধ্য হন ধর্মদাসবাবু। তার ফলে অবসাদে ভুগতে থাকেন তিনি। ঘটনার পর ধর্মদাসবাবুর ছেলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন, কিন্তু অভিযুক্ত নেতা এখন পলাতক।



বাঁকুড়ায় চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে আত্মঘাতী তৃণমূল নেতার স্বামী

বাঁকুড়ার কোতুলপুরে চাকরি দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা নিয়ে দলেরই নেতার প্রতারণার অভিযোগে আত্মঘাতী হলেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান ধর্মদাস মণ্ডল। ঘটনার জেরে তাঁর স্ত্রী রূপাদেবী, যিনি স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন, অভিযোগ করেছেন যে ২০১৭ সালে তৃণমূল নেতা সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২০ লক্ষ টাকা দেন চাকরি পাওয়ার আশায়। কিন্তু চাকরি না হওয়ায় ধর্মদাসবাবু হতাশ হয়ে আত্মহত্যা করেন।

পরিবারের দাবি, সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের জানান, তিনি দলের উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ব্যবহার করে বেশ কয়েকটি সরকারি চাকরি দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে ধর্মদাসবাবু ঋণ নিয়ে ওই টাকা দেন। কিন্তু ২০১৮ সালে সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদের পরিবর্তনের পর থেকেই তিনি ধর্মদাসবাবুকে এড়িয়ে চলতে থাকেন।

২০২২ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর ধর্মদাসবাবু চাকরির আশা ছেড়ে টাকা ফেরতের দাবি করেন। কিন্তু সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা ফেরানোর বদলে তাঁকে হুমকি দিতে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে ধর্মদাসবাবুর ওপর ঋণ শোধের চাপ বাড়তে থাকে, যা তাঁকে অবসাদগ্রস্ত করে তোলে।

ধর্মদাসবাবুর মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে থানায় সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত নেতা পলাতক রয়েছেন, এবং জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এই ঘটনাটি সমাজে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার এক ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরছে।

প্রশ্ন ১: এই ঘটনায় কি ঘটেছে?

উত্তর: চাকরি দেওয়ার নামে এক দলের নেতা প্রতারণা করেছেন, যার ফলে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রশ্ন ২: আত্মঘাতী TMC নেতার পরিচয় কি?

উত্তর: তিনি TMC দলের একজন নেতা ছিলেন, যিনি চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার শিকার হয়ে আত্মঘাতী হন।

প্রশ্ন ৩: এ ধরনের প্রতারণা থেকে কিভাবে বাঁচা সম্ভব?

উত্তর: নিশ্চিত তথ্য ও বিশ্বাসযোগ্য উৎস থেকে চাকরির তথ্য সংগ্রহ করা উচিত এবং সন্দেহজনক অফার এড়িয়ে চলা উচিত।

প্রশ্ন ৪: কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে?

উত্তর: পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং যারা প্রতারণা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা চলছে।

প্রশ্ন ৫: এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া কেমন?

উত্তর: সাধারণ মানুষ খুব উদ্বিগ্ন এবং ক্ষুব্ধ, কারণ তারা বিশ্বাস করেছিল যে তাদের চাকরি হবে।

মন্তব্য করুন