কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হলে লাল জামা পরিহিত ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রথমে দাবি করা হয়েছিল যে তিনি অভীক দে, কিন্তু কলকাতা পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি আসলে আনিসুর রহমান, যিনি ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবিগুলোতে দেখা গেছে, সেখানে পুলিশ ও ফরেন্সিক বিভাগের প্রতিনিধিরা ছিলেন। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA) পশ্চিমবঙ্গ শাখার দাবি খারিজ করে পুলিশ জানিয়েছে যে আনিসুর রহমানের মাথায় টাক আছে এবং তিনি পুলিশ বিভাগের একজন কর্মকর্তা। এদিকে, অভীক দে সম্পর্কে বিভিন্ন বিতর্ক চলছে, বিশেষ করে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সিন্ডিকেট নিয়ে।
লাল জামা পরিহিত ব্যক্তি: অভীক দে নাকি আনিসুর রহমান?
কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের সেমিনার হলে লাল জামা পরে থাকা ব্যক্তিকে নিয়ে চলছে নানা গুজব। সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দের প্রতিবেদনে জানা গেছে, ওই ব্যক্তির নাম আনিসুর রহমান, যিনি কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ। যদিও ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA) পশ্চিমবঙ্গ শাখা দাবি করছে, ওই ব্যক্তি আসলে অভীক দে, যিনি এসএসকেএম হাসপাতালের প্রথম বর্ষের পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক
গত শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া দুটি ছবিতে দেখা গেছে, সেমিনার হলের মধ্যে এক তরুণী চিকিৎসকের দেহ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, কেন এত লোক সেখানে উপস্থিত ছিল? কলকাতা পুলিশ দাবি করেছে, ওই ছবিতে যাঁরা রয়েছেন, সকলেই পুলিশ বা ফরেন্সিক বিভাগের প্রতিনিধি। তবে লাল জামা পরিহিত ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশের দাবি
পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, লাল জামা পরিহিত ব্যক্তি হলেন আনিসুর রহমান, যিনি ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞ। তবে IMA পশ্চিমবঙ্গ শাখার দাবি, তিনি অভীক দে, যিনি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একটি সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভীক দে কে?
অভীক দে সম্পর্কে অভিযোগ আছে যে তিনি ‘উত্তরবঙ্গ লবি’ নামে একটি সিন্ডিকেটের অংশ। বিভিন্ন হাসপাতালে তাঁর নাম ও ছবি নিয়ে পোস্টারও দেখা গেছে। IMA-এর দাবি, অভীক ভুয়ো সার্টিফিকেটের মাধ্যমে স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি হয়েছেন।
এখন দেখার বিষয়, এই বিষয়টি কিভাবে সামনে আসে এবং কলকাতা পুলিশ কি পদক্ষেপ নেয়।
RG করের রহস্যময় লাল জামার ঘটনা কি?
এটি একটি অপরাধের ঘটনা যেখানে একটি লাল জামা পরা এক ব্যক্তি সন্দেহভাজন হিসেবে দেখা গেছে।
পুলিশ কেন অভীককে সন্দেহ করছে?
পুলিশ অভীককে সন্দেহ করছে কারণ তার টাক মাথা এবং চুলের ধরন সেই ব্যক্তির সাথে মিলে যায় যে লাল জামা পরা ছিল।
এই রহস্যের পেছনে কি কারণ থাকতে পারে?
এটি একটি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হতে পারে, এবং পুলিশ তদন্ত করছে যাতে সত্য উদ্ঘাটিত হয়।
পুলিশ কি পদক্ষেপ নিচ্ছে?
পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য সংগ্রহ করছে।
কখন এই ঘটনা ঘটেছে?
এই ঘটনা সম্প্রতি ঘটেছে, এবং পুলিশ এখনও ঘটনার বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে।