গো-রক্ষকদের হাতে পরিযায়ী শ্রমিকের হত্যাকাণ্ড: হরিয়ানার উত্তাপ

News Live

গো-রক্ষকদের হাতে পরিযায়ী শ্রমিকের হত্যাকাণ্ড: হরিয়ানার উত্তাপ

হরিয়ানার চরখি দাদরি এলাকায় একটি পরিযায়ী শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিক সবির মালিককে গোমাংস খাওয়ার সন্দেহে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে গোরক্ষকেরা রয়েছে। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি গণপিটুনি বলা ঠিক নয়, কারণ গোপালদের রক্ষার জন্য কঠোর আইন করা হয়েছে। তিনি বলেন, গ্রামবাসীরা গরুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রাখেন। এই ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। সবির মালিককে মারধর করে হত্যা করা হয় এবং এই ঘটনায় তদন্ত চলছে।



হরিয়ানায় পরিযায়ী শ্রমিক হত্যা: গো-মাংস খাওয়ার সন্দেহে গোরক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

সম্প্রতি হরিয়ানার চরখি দাদরি এলাকায় বাংলার এক পরিযায়ী শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সবির মালিক নামের ওই শ্রমিককে গোমাংস খাওয়ার সন্দেহে খুন করার অভিযোগ করা হয়েছে। স্থানীয় গোরক্ষকদের একটি গ্রুপের বিরুদ্ধে এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পর হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি বলেন, এই বিষয়টিকে ‘গণপিটুনি’ বলা ঠিক নয় এবং তিনি গো-রক্ষার জন্য কঠোর আইন প্রণয়ের কথা উল্লেখ করেন।

মুখ্যমন্ত্রী সাইনি বলেন, ‘গ্রামবাসীদের গরুর প্রতি এতটাই শ্রদ্ধা যে তাঁরা যদি এমন কিছু জানতেও পারেন, তাহলে তাঁদের আটকাতে কে পারে? আমি বলতে চাই, এই ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে এবং এসব ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক।’

এদিকে, ঘটনার পর পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। সবির মালিককে ২৭ অগস্ট মারধর করে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের মধ্যে অভিষেক, মোহিত, রবিন্দর, কমলজিৎ ও সাহিলসহ দুই কিশোর রয়েছে। পুলিশ সুপার ধীরজ কুমার জানিয়েছেন, ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযুক্তরা বর্তমানে পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে।

এটি স্পষ্ট যে, হরিয়ানায় গো-মাংস ভক্ষণ গুরুতর অপরাধ এবং এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য জুড়ে আলোচনা চলছে। এ ধরনের ঘটনা সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করছে এবং স্থানীয় প্রশাসনের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।

মব লিঞ্চিং কি?

মব লিঞ্চিং হলো যখন একটি বিশাল জনগণ কোনো ব্যক্তিকে সন্দেহের ভিত্তিতে মারধর করে বা হত্যা করে।

গো-মাংস খাওয়ার সন্দেহে মব লিঞ্চিং কেন ঘটে?

গো-মাংস খাওয়ার সন্দেহে অনেক সময় লোকজন রাগে এবং ভীতিতে এসে অন্যকে আক্রমণ করে। এটি একটি সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সমস্যা।

মব লিঞ্চিং প্রতিরোধে কে কী করতে পারে?

সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সমাজের প্রতিটি সদস্যের দায়িত্ব রয়েছে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা।

হরিয়ানার CM কেন বলেছেন ‘গণপিটুনি’ বলা ঠিক নয়?

তিনি মনে করেন, এটা শুধু একটি ভুল বোঝাবুঝির ফল এবং বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করা উচিত।

মব লিঞ্চিংয়ের বিরুদ্ধে কী আইন আছে?

ভারতে মব লিঞ্চিংয়ের বিরুদ্ধে কিছু আইন আছে, তবে কার্যকরী প্রয়োগের অভাব রয়েছে, যা এই সমস্যাকে বাড়িয়ে তোলে।

মন্তব্য করুন