নবান্ন অভিযানের সময় পুলিশের উপর আক্রমণে এক পুলিশ অফিসারের চোখ গুরুতরভাবে জখম হয়েছে। এই ঘটনার পর কলকাতা পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য তাদের গাড়ির জানলায় শক্ত লোহার জাল লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লালবাজারের নির্দেশ অনুযায়ী, এই জাল লাগানোর ফলে আন্দোলনকারীদের ইট ছোড়ার সময় পুলিশ এবং তাদের গাড়ির ক্ষতি হবে না। ইতিমধ্যেই এই নির্দেশ থানা ও ডিভিশনের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। ৩৬ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। পুলিশের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে যাতে ভবিষ্যতে আন্দোলনের সময় পুলিশ কর্মীরা সুরক্ষিত থাকেন।
কলকাতা পুলিশের নতুন সুরক্ষা ব্যবস্থা: ইটের আঘাত থেকে রক্ষা পেতে লোহার জাল
সম্প্রতি আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় পুলিশের উপর আক্রমণের পর নবান্ন অভিযানের সময় পুলিশের গাড়ির প্রতি ইট ছোড়ার ঘটনায় একজন পুলিশ অফিসারের চোখ মারাত্মকভাবে জখম হয়েছে। দেবাশিস চক্রবর্তী নামের ওই সার্জেন্টের চোখটি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই ঘটনার পর পুলিশ এখন থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যবহৃত সব গাড়ির জানলায় শক্ত প্রতিরোধক লোহার জাল লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
লালবাজারের ট্রান্সপোর্ট বিভাগের পক্ষ থেকে সমস্ত থানা ও বিভাগীয় কর্মকর্তাদের কাছে এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্দেশ পালন হয়েছে কিনা তা রিপোর্ট দিতে হবে। এই নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে কলকাতা পুলিশ আন্দোলনকারীদের ইটের আঘাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে চায়। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু প্রিজন ভ্যান ও পুলিশের গাড়িতে লোহার জাল লাগানো হয়েছে।
নবান্ন অভিযানের দিন পুলিশের উপর আক্রমণের সময় ৩৬ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। পুলিশ অভিযোগ করেছে যে আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাতে আসেননি, বরং ইট-পাটকেল, লাঠি ও বোতল ছুড়েছে। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা পুলিশ আগাম সুরক্ষা নেয়ার পরিকল্পনা করছে যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনায় পুলিশ কর্মীরা আহত না হন।
পুলিশের গাড়িতে লোহার জাল কেন লাগানো হচ্ছে?
লৌহ জাল লাগানোর উদ্দেশ্য হলো পুলিশের নিরাপত্তা বাড়ানো এবং জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
নবান্ন অভিযান থেকে কি শিক্ষা নেওয়া হয়েছে?
নবান্ন অভিযান থেকে শিক্ষা হলো, পরিস্থিতির ক্ষেত্রে সঠিক প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
লোহার জাল লাগালে কি সুবিধা হবে?
লোহার জাল লাগালে পুলিশ বাহিনী আরও সুরক্ষিত থাকবে এবং বিক্ষোভ বা অশান্তির সময় নিরাপদে কাজ করতে পারবে।
এটি কি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত?
হ্যাঁ, বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত, যাতে পুলিশের কার্যক্রম আরও কার্যকরী হয়।
জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে?
জনসাধারণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে; কেউ সমর্থন করবে, আবার কেউ বিরোধিতা করতে পারে।