মোদি ও জেলেনস্কির ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ: ট্রেনের জার্নিতে নিরাপত্তার খোঁজ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন ৭ ঘণ্টার ইউক্রেন সফরের জন্য ২০ ঘণ্টার ট্রেন যাত্রা বেছে নিচ্ছেন? এই প্রশ্নটি এখন ভারত ও আন্তর্জাতিক মহলে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। সফরের উদ্দেশ্য, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পরিবেশগত সচেতনতার মতো বিভিন্ন কারণ এই দীর্ঘ ট্রেন যাত্রার পেছনে কাজ করছে। আসুন, বিস্তারিত জানি কেন এই বিশেষ সিদ্ধান্ত নিলেন প্রধানমন্ত্রী।



প্রধানমন্ত্রী মোদির ইউক্রেন সফর

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বর্তমানে পোল্যান্ডে রয়েছেন। এর পরে, তিনি ২৩ আগস্ট ইউক্রেনে যাত্রা করবেন। তবে, তিনি কিয়েভে যাওয়ার জন্য বিমান নয়, বরং একটি বিশেষ ট্রেনে যাচ্ছেন।

বিশেষ ট্রেনের সুবিধা

এই ট্রেনটি ‘ট্রেন ফোর্স ওয়ান’ নামে পরিচিত এবং এটি বিলাসবহুল সুবিধা ও বিশ্বমানের পরিষেবার জন্য বিখ্যাত। প্রধানমন্ত্রী মোদি ২০ ঘণ্টার এই রাতের ট্রেন যাত্রা করবেন, যা তার সাত ঘণ্টার কিয়েভ সফরের জন্য।

নিরাপত্তার কারণে ট্রেন যাত্রা

এই দীর্ঘ ট্রেন যাত্রার কারণ হলো ইউক্রেনে সব বিমানবন্দর বন্ধ রয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে। তাই ট্রেনে যাত্রা নিরাপদ মনে করা হচ্ছে।

মোদি ও জেলেনস্কির সাক্ষাৎ

প্রধানমন্ত্রী মোদি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কিয়েভের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। ইউক্রেন সফরের সময়, তিনি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে দেখা করবেন। আশা করা হচ্ছে যে, মোদির সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা চুক্তি সই হবে।

বৈশ্বিক নেতাদের ট্রেন যাত্রা

মোদি একমাত্র নেতা নন যিনি ‘ট্রেন ফোর্স ওয়ান’-এ ইউক্রেন সফর করছেন। এর আগে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন, ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজও এই ট্রেনে যাত্রা করেছেন।

ট্রেনের আধুনিক সুবিধা

এই ট্রেনটি ২০১৪ সালে ক্রিমিয়ার পর্যটকদের জন্য নির্মিত হয়েছিল এবং এর অভ্যন্তরটি একটি উচ্চ-মানের হোটেলের মতো। এতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের জন্য একটি বড় টেবিল, প্লাশ সোফা এবং ওয়াল-মাউন্টেড টিভি রয়েছে। বিশ্রামের জন্যও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ট্রেনটিতে VIP যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য উন্নত ব্যবস্থা রয়েছে। এতে আর্মড উইন্ডো, সুরক্ষিত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা কর্মীদের একটি নিবDedicated দল রয়েছে।

শান্তির সংলাপের প্রতিশ্রুতি

মোদি, যিনি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির আমন্ত্রণে ইউক্রেন সফর করছেন, তিনি বলেছেন যে তিনি চলমান সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের বিষয়ে জেলেনস্কির সাথে আলোচনা করবেন।

মোদি ও মস্কোর সফরের প্রেক্ষাপট

মোদি কিয়েভ সফর করছেন প্রায় ছয় সপ্তাহ পরে তার মস্কো সফরের পর, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এর কিছু পশ্চিমা মিত্রদের সমালোচনার সৃষ্টি করেছিল।

প্রশ্ন ১: কেন প্রধানমন্ত্রী মোদী ২০ ঘণ্টার ট্রেনে যাচ্ছেন?

উত্তর: প্রধানমন্ত্রী মোদী নিরাপত্তার কারণে ট্রেনে যাচ্ছেন, কারণ ট্রেনের যাত্রা বেশি নিরাপদ হতে পারে।

প্রশ্ন ২: ইউক্রেনে তার কত ঘণ্টার সফর হবে?

উত্তর: প্রধানমন্ত্রী মোদীর ইউক্রেনে সফর হবে ৭ ঘণ্টার।

প্রশ্ন ৩: ট্রেনে যাওয়ার কি বিশেষ সুবিধা আছে?

উত্তর: ট্রেনে যাওয়ার সময়, মোদী মানুষের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করতে পারবেন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও ভালো থাকবে।

প্রশ্ন ৪: বিমান নিয়ে যেতে হলে সময় কি কম হত?

উত্তর: হ্যাঁ, বিমান নিয়ে গেলে সময় কম লাগতো, কিন্তু নিরাপত্তার কারণে ট্রেন বেছে নেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন ৫: এই সফরের উদ্দেশ্য কী?

উত্তর: এই সফরের উদ্দেশ্য হলো ইউক্রেনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করা এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা।

Leave a Comment