মহারাজ: পিতৃ-পুত্রের ঐতিহাসিক সিনেমার সম্ভাব্য ক্রসওভার

News Live

মহারাজ: পিতৃ-পুত্রের ঐতিহাসিক সিনেমার সম্ভাব্য ক্রসওভার

Siddharth P Malhotra-এর নির্মিত ‘মহারাজ’ সিনেমাটি এই বছর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পায় এবং দর্শক ও সমালোকদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পায়। এই সিনেমা জুনায়েদ খানের জন্য একটি নতুন যাত্রা, যিনি থিয়েটার থেকে দক্ষতা অর্জন করেছেন। ‘মহারাজ’ গুজরাতি লেখক সৌরভ শাহের একটি উপন্যাসের ভিত্তিতে নির্মিত, যা ১৮৬২ সালের মহারাজ লিবেল কেসের কাহিনী ধারণ করে, যেখানে একটি মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের বিরুদ্ধে যৌন দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্র কার্সন্দাস মুলজি, যিনি সমাজ সংস্কারক ও সাংবাদিক, এবং তিনি মহারাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। সিনেমাটির মধ্যে কিছু ঘটনার অভাব থাকলেও, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বার্তা তুলে ধরে।



মহারাজ: একটি ঐতিহাসিক চলচ্চিত্রের সাফল্য

পরিচালক সিদ্ধার্থ পি মালহোত্রার মহারাজ, যা এই বছর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে, দর্শক ও সমালোকদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। এই ছবিটি জুনায়েদ খানের জন্য একটি নতুন সূচনা, যিনি থিয়েটারে বেশ কয়েক বছর কাজ করার পর এখানে দারুণ অভিনয় করেছেন।

মহারাজ কিভাবে আমির খান ও জুনায়েদ খানকে একটি ঐতিহাসিক ক্রসওভারে একত্রিত করতে পারতো

মহারাজ একটি গুজরাটি বইয়ের উপর ভিত্তি করে, যার লেখক সৌরভ শাহ। এটি ১৮৬২ সালের মহারাজ লিবার মামলা নিয়ে, যেখানে মুম্বাইয়ের একটি বড় বৈষ্ণব হাভেলির প্রধান পুরোহিত জাদুনাথজি মহারাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।

চিত্রনাট্যের মূল চরিত্র, সাংবাদিক এবং সামাজিক সংস্কারক কারসন্দাস মুলজি, জুনায়েদের অভিনয়ে, মহারাজের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

অনেক চলচ্চিত্র বইয়ের উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়, কিন্তু সব ঘটনাকে একটি চলচ্চিত্রে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয় না। মহারাজ এর ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।

বইয়ে একটি ঘটনার উল্লেখ আছে যা ছবিতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি, যেখানে কারসন্দাস মুলজি একটি খবরের প্রতিবেদন পড়েন যা ব্রিটিশ সৈনিক মঙ্গল পাণ্ডের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে। এই ঘটনা ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের জন্ম দেয়।

যদি মহারাজ ছবিতে এই ঘটনার উল্লেখ করা হতো, তাহলে হয়তো আমির খান ও জুনায়েদ খানের জন্য একটি ক্রসওভার সুযোগ তৈরি হতো।

আরও পড়ুন: আমির খান এবং তার পরিবার জুনায়েদ খানের সমর্থনে মহারাজ-এর সেটে

প্রশ্ন ১: মহারাজ কিভাবে আমির খান ও জুনায়েদ খানকে একত্রিত করতে পারতেন?

উত্তর: মহারাজ যদি ঐতিহাসিক চরিত্রের মাধ্যমে তাদের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করতেন, তাহলে তাদের একসাথে একটি সিনেমায় কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হতো।

প্রশ্ন ২: এই ক্রসওভার সিনেমার গল্প কেমন হতে পারে?

উত্তর: গল্পটি হতে পারে একটি মহাকাব্যিক যাত্রার উপর, যেখানে আমির ও জুনায়েদ দুজনেই বিভিন্ন সময়ের যোদ্ধা হিসেবে একত্রিত হয়ে একটি শত্রুকে পরাজিত করেন।

প্রশ্ন ৩: দর্শকদের কাছে এই ক্রসওভার কেমন জনপ্রিয় হতে পারে?

উত্তর: দুজন বড় অভিনেতা একসাথে আসলে দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হবে, ফলে সিনেমাটি অনেক জনপ্রিয় হতে পারে।

প্রশ্ন ৪: মহারাজের কোন বিশেষ দক্ষতা এই ক্রসওভারকে সফল করতে সাহায্য করবে?

উত্তর: মহারাজের কাহিনী বলার ক্ষমতা এবং ইতিহাসের গভীর জ্ঞান এই সিনেমাকে আকর্ষণীয় ও শিক্ষা মূলক করে তুলতে সাহায্য করবে।

প্রশ্ন ৫: এই ধরনের ক্রসওভার সিনেমার কি কোন উদাহরণ আছে?

উত্তর: হ্যাঁ, অতীতে অনেক সিনেমায় বিভিন্ন যুগের চরিত্রগুলোকে একত্রিত করা হয়েছে, যেমন “বাহুবলী” এবং “মহাভারত” এর বিভিন্ন রূপ।

মন্তব্য করুন