শীর্ষস্থানীয় অভিনেতা মানিয়ানপিলা রাজু এবং অভিনেতা এডাভেলা বাবুর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাটি সম্প্রতি মিডিয়াতে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছেন শিকারীরা। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এই বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আবেদন করছেন।
মলয়ালাম সিনেমা শিল্পে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ
কোচি: যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মলয়ালাম সিনেমা শিল্প এখন সমালোচনার মুখে পড়েছে, কারণ পুলিশ আরও কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ অভিনেতা মুকেশ, মানিয়ানপিলা রাজু এবং এডাভেলা বাবুর বিরুদ্ধে একটি মহিলা অভিনেত্রীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে। ফোর্ট কোচি পুলিশ মানিয়ানপিলা রাজুর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে, অন্যদিকে এরনাকুলাম নর্থ পুলিশ এডাভেলা বাবুকে মামলা করেছে। মারাডু পুলিশ মুকেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ), ৩৫৪ (মহিলাদের সৎসম্মান নষ্ট করা), ৫০৯ (মহিলাদের সৎসম্মান আঘাত করার উদ্দেশ্যে শব্দ, ইশার বা কাজ) এবং ৪৫৪ (অবৈধ প্রবেশ) ধারায় মামলা করেছে।
আইপিসি ধারার ৩৫৪ এবং ৩৭৬ (ধর্ষণ) এর অধীনে এডাভেলা বাবু এবং মানিয়ানপিলা রাজুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এফআইআরের তথ্য অনুযায়ী, এডাভেলা বাবু, যিনি মালয়ালাম মুভি আর্টিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের (এএমএমএ) প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক, অভিনেত্রীকে তার সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার পরে যৌন নির্যাতন করেছেন।
একই অভিযোগকারী জয়সূর্য, মুকেশ, মানিয়ানপিলা রাজু, আইনজীবী ভি এস চন্দ্রশেখরন, প্রযোজক ভিচু এবং নোবলের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ তুলেছেন। মনোরা নিউজ রিপোর্ট করেছে যে পুলিশ বিশেষ তদন্ত দলের মাধ্যমে মহিলার অভিযোগ রেকর্ড করার পরে সাতজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
মানিয়ানপিলা রাজু ও এডাভেলা বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ কী?
মানিয়ানপিলা রাজু ও এডাভেলা বাবুর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
এই মামলা কিভাবে শুরু হলো?
মামলাটি শুরু হয়েছে যখন একজন মহিলা তাদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেন।
প্রমাণ হিসেবে কী কিছু আছে?
অভিযোগকারীর বক্তব্য এবং কিছু সাক্ষ্য প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই মামলার ফলাফল কী হতে পারে?
যদি তারা দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া কেমন?
এই মামলার কারণে সমাজে খুব আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এবং অনেকেই ন্যায়বিচারের দাবি করছেন।