এমির খান তার ভবিষ্যৎ চলচ্চিত্রগুলোর ডিজিটাল অধিকার বিক্রি না করার পরিকল্পনা করছেন, যাতে থিয়েট্রিক্যাল রিলিজকে প্রাধান্য দেওয়া যায়। পিঙ্কভিলার রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি সিনেমা হলগুলোতে তার ছবিগুলোকে এক্সক্লুসিভ রাখতে চান, যাতে দর্শকদের প্রভাবশালী অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। এমিরের লক্ষ্য হল সামাজিক কমেডি জঁরকে পুনরুজ্জীবিত করা, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অবহেলিত হয়েছে। তিনি চলচ্চিত্র মুক্তির পর ডিজিটাল অধিকার বিক্রি করবেন, যা দর্শকদের প্রতিক্রিয়া জানার সুযোগ দিবে। এমিরের নতুন চলচ্চিত্র “সিতারে জামিন পার” ২০২৪ সালের ২০ ডিসেম্বর মুক্তির জন্য নির্ধারিত, তবে মুক্তির তারিখে পরিবর্তন হতে পারে।
আমির খানের নতুন পরিকল্পনা: ডিজিটাল রিলিজ বাদ দিচ্ছেন
আমির খান শোনা যাচ্ছে যে তিনি চলচ্চিত্র শিল্পের ব্যবসায়িক গতিশীলতা পরিবর্তন করার পরিকল্পনা করছেন। পিংকভিলার একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এই অভিনেতা তার ভবিষ্যতের ছবির ডিজিটাল অধিকার বিক্রি না করার বিষয়টি বিবেচনা করছেন, যা থিয়েট্রিক্যাল রিলিজকে অগ্রাধিকার দেওয়ার লক্ষ্যে এবং সামাজিক কমেডি ঘরানাকে পুনরুজ্জীবিত করার উদ্দেশ্যে।
আমির খান থিয়েট্রিক্যাল অভিজ্ঞতা বাড়ানোর জন্য ভবিষ্যতের সিনেমার ডিজিটাল রিলিজ বাদ দিচ্ছেন: রিপোর্ট
একটি গেম-চেঞ্জিং কৌশল
আমির খানের পরিকল্পনা হলো তার সিনেমাগুলিকে সিনেমা হলগুলিতে একাধিক সপ্তাহ ধরে এক্সক্লুসিভ রাখা। ডিজিটাল অধিকার বিক্রি করার ক্ষেত্রে দেরি করে তিনি সিনেমাটির থিয়েট্রিক্যাল রান সর্বাধিক করতে এবং দর্শকদের প্রতিক্রিয়া মূল্যায়ন করতে চান।
সামাজিক কমেডি ঘরানাকে পুনরুজ্জীবিত করা
আমির বিশ্বাস করেন যে তার সিনেমাগুলিকে প্রাথমিকভাবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে দূরে রেখে, তিনি একটি আরও ইমার্সিভ এবং প্রভাবশালী সিনেমাটিক অভিজ্ঞতা তৈরি করতে পারবেন। তার এই কৌশলটি সামাজিক কমেডি ঘরানাকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যেও কাজ করবে।
যদিও এটি এখনও নিশ্চিত নয় যে এই পরিবর্তনটি “সিতার জামে পার” সিনেমার মাধ্যমে শুরু হবে, তবে আমির তার দলের সঙ্গে এই কৌশল নিয়ে সক্রিয়ভাবে আলোচনা করছেন। সিনেমাটি বর্তমানে ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪ এ মুক্তির জন্য নির্ধারিত আছে, যদিও একটি সম্ভাব্য বিলম্বের গুজব রয়েছে।
এটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
এটি থিয়েট্রিকাল অভিজ্ঞতা বাড়াতে সাহায্য করে, দর্শকদের সিনেমা হলে আসতে উৎসাহিত করে এবং সিনেমা নির্মাতাদের জন্য আরও লাভজনক হয়।
আমির খানের সিদ্ধান্তের প্রভাব কী?
আমির খান যদি ডিজিটাল রিলিজ থেকে দূরে থাকেন, তাহলে এতে অন্যান্য নির্মাতাদের জন্যও একই পথে চলার প্রেরণা তৈরি হবে, যা সিনেমা হলের ব্যবসাকে আরও শক্তিশালী করবে।
কীভাবে এটি দর্শকদের জন্য উপকারি?
থিয়েটারে সিনেমা দেখা একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা, যা বড় পর্দায়, সাউন্ড সিস্টেমে এবং দর্শকদের সঙ্গে একসঙ্গে উপভোগ করার সুযোগ দেয়।
এটি কি সিনেমা নির্মাতাদের জন্য ভালো?
হ্যাঁ, থিয়েট্রিকাল রিলিজের মাধ্যমে নির্মাতারা বেশি আয় করতে পারেন, কারণ এটি তাদের কাজের সঠিক মূল্যায়ন করতে সাহায্য করে।
ভবিষ্যতে কি এটি সাধারণ হয়ে উঠবে?
যদি আরও অভিনেতা ও নির্মাতারা এই পথে চলতে শুরু করেন, তবে এটি ভবিষ্যতে সিনেমা মুক্তির একটি সাধারণ রীতি হয়ে উঠতে পারে।