হরিয়ানায় গরুর মাংসের ‘অপরাধে’ গণপিটুনিতে বাংলার যুবকের মৃত্যু

হরিয়ানায় একটি গণপিটুনিতে বাংলার যুবক সাবির মল্লিকের মৃত্যু হয়েছে, যাকে গরুর মাংস খাওয়ার অভিযোগে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার অভিযোগ উঠেছে হিন্দুবদী গোরক্ষক কমিটির দিকে। হরিয়ানার বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনাকে ‘গণপিটুনি’ বলতে নারাজ এবং বলেছেন গ্রামবাসীদের আবেগের কারণে এমন ঘটনা ঘটে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাবিরের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে তাদেরকে চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করেছেন এবং আর্থিক সাহায্যও করেছেন। নিহত যুবক দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর বাসিন্দা ছিলেন এবং প্রায় তিন বছর আগে কাজের সন্ধানে হরিয়ানায় গিয়েছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, হরিয়ানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে গুরুত্ব দিচ্ছে না।



হরিয়ানায় গণপিটুনিতে বাংলার যুবকের মৃত্যু

হরিয়ানায় একটি ভয়াবহ ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর বাসিন্দা সাবির মল্লিকের। গরুর মাংস খাওয়ার ‘অপরাধে’ এই যুবককে গণপিটুনির শিকার হতে হয়েছে। এই ঘটনায় আঙুল উঠেছে হিন্দুবদী গোরক্ষক কমিটির দিকে, যা সমাজে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। হরিয়ানার বিজেপি শাসিত সরকারও এই ইস্যুতে নিজেদের দায় ঝেড়ে ফেলতে চেষ্টা করছে। মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনার জন্য ‘গণপিটুনি’ শব্দ ব্যবহার করতে নারাজ, এবং তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যে আবেগের বশে এমন ঘটনা ঘটলে তিনি কীভাবে তা রোধ করবেন।

এই ঘটনার পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাবিরের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তৃণমূলের নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, নিহতের পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে। এছাড়া, পরিবারকে আর্থিক সাহায্যও প্রদান করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন যে তিনি এই ঘটনার প্রতি নজর রাখছেন এবং যতটা সম্ভব সহায়তা করছেন।

সাবিরের পরিবার অভিযোগ করেছে যে, তাকে গরুর মাংস খাওয়ার সন্দেহে স্থানীয় গোরক্ষকরা তুলে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। ৩০ অগস্ট তার রক্তাক্ত দেহ একটি খালের পাশে পাওয়া যায়। এই ঘটনায় হরিয়ানা পুলিশ এখনও পর্যন্ত কার্যকরী তদন্ত করেনি বলে অভিযোগ।

হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, গো-রক্ষার জন্য কঠোর আইন রয়েছে এবং গ্রামবাসীরা গরুর প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে এই ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে এবং এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেও মন্তব্য করেছেন।

এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে, এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপ কী হবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

প্রশ্ন ১: সাবির কে ছিলেন?

উত্তর: সাবির একজন বাঙালি যুবক ছিলেন, যিনি হরিয়ানায় গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা যান।

প্রশ্ন ২: এই ঘটনা কিভাবে ঘটলো?

উত্তর: সাবিরকে সন্দেহভাজন হিসেবে ধরার পর স্থানীয়দের দ্বারা গণপিটুনি দেওয়া হয়, যার ফলে তার মৃত্যু ঘটে।

প্রশ্ন ৩: মুখ্যমন্ত্রী কি পদক্ষেপ নিয়েছেন?

উত্তর: মুখ্যমন্ত্রী সাবিরের পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দিয়েছেন, যাতে তারা সহায়তা পায়।

প্রশ্ন ৪: গণপিটুনির বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?

উত্তর: সরকার গণপিটুনির বিরুদ্ধে কঠোর আইন এবং পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

প্রশ্ন ৫: এই ঘটনার পর সমাজে কি পরিবর্তন আসবে?

উত্তর: এই ঘটনা সচেতনতা বৃদ্ধি করবে এবং সমাজে সহিংসতার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি করবে আশা করা হচ্ছে।

Leave a Comment