সরকারের কড়া পদক্ষেপ: দুই চিকিৎসকের সাসপেনশন ও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু

সরকার অবশেষে পদক্ষেপ নিচ্ছে। দুই চিকিৎসক অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা প্রভাবশালী ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা কতটা আন্তরিকতা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভীক দে পিজিটি খুনের ঘটনার পর সেমিনার রুমে উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ। তিনি তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ, এবং করোনা পর্বে বিশেষ সুবিধা নিয়ে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে, বিরূপাক্ষ মিত্রও পরীক্ষায় পাস করানোর এবং ইচ্ছে মতো পোস্টিংয়ে জড়িত ছিলেন। স্বাস্থ্য দফতরের এই পদক্ষেপে অনেকেই বিচলিত এবং তদন্তের ফলাফল দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন।



রাজ্য সরকারের কড়া পদক্ষেপ: চিকিৎসক অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাস সাসপেন্ড

এতদিন ধরে আমরা দেখতে পাচ্ছিলাম, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ যেন নির্বিকার। কিন্তু এবার পরিবর্তন এসেছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর দুই চিকিৎসক, অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তাদের চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যারা এতদিন নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করতেন, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কি আদৌ আন্তরিক? নাকি এটি শুধুই ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা? এই প্রশ্নগুলো এখন সকলের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে।

স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে এই দুজন চিকিৎসককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাহলে কি তারা সিঁদুরে মেঘ দেখেই ব্যবস্থা নিয়েছেন? অভীক দে, যিনি স্বাস্থ্য দফতরের অন্দরে প্রভাবশালী বলে পরিচিত, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে। পিজিটি খুনের ঘটনার পরের দিন তিনি সেমিনার রুমে ছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে। চিকিৎসকদের সংগঠনও তার পিজিটি প্রাপ্তির প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।

অভীক দে যে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ, তা ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, করোনা পরিস্থিতিতে গ্রামীণ এলাকায় চিকিৎসা করার জন্য বিশেষ সুবিধার মাধ্যমে ভর্তি হওয়ার সুযোগ নিয়েছিলেন তিনি। তার পেছনে ছিল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের এক প্রভাবশালী কর্তার হাত। তবে এই ঘটনায় টিএমসিপি তার থেকে হাত তুলে নিয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে একাধিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা অভীককে সাসপেন্ড করেছে টিএমসিপি। তাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আরজি করের ক্রাইম সিনের পরিপ্রেক্ষিতে অভীক দে’র বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই সাসপেনশন চলবে।

অন্যদিকে, বিরূপাক্ষ মিত্রও এক প্রভাবশালী চিকিৎসক। তিনি পরীক্ষায় পাশ করানো, পছন্দমতো পোস্টিং দেওয়া এবং ইচ্ছে করে ফেল করানোর অভিযোগে অভিযুক্ত। তবে এবার সরকারের তরফ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সাসপেন্ড অভীক মানে কি?

অভীককে সাসপেন্ড করলে অর্থাৎ কিছু সময়ের জন্য তার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে।

বিরূপাক্ষ কিভাবে সম্পর্কিত?

বিরূপাক্ষ একটি রাজনৈতিক বিষয়, যেখানে অভীককে সাসপেন্ড করার প্রেক্ষাপট রয়েছে।

তৃণমূলের ভূমিকা কি?

তৃণমূল এই পরিস্থিতিতে অভীককে সাসপেন্ড করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।

এখন কি ঘটবে অভীকের?

অভীক এখন কিছু সময়ের জন্য দলের কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না।

এটি কি রাজনৈতিক সংকট তৈরি করবে?

হ্যাঁ, এটি রাজনৈতিক সংকট তৈরি করতে পারে এবং দলের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে।

Leave a Comment