শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণপত্রে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’: প্রতিবাদের নতুন ভাষা ও নৈতিকতার সংকট

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে রয়েছেন। তাদের স্লোগান ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। এই পরিস্থিতিতে রায়গঞ্জের শুভ্রজ্যোতি দত্ত একটি অভিনব প্রতিবাদের উদ্যোগ নিয়েছেন। তার মায়ের শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণপত্রে লেখা হয়েছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। শুভ্রজ্যোতি বলেন, তার মা দীর্ঘদিন স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন এবং তিনি চান যে এভাবে সবাই বিচার দাবি করুক। নিমন্ত্রণপত্র দেখে আত্মীয়-স্বজনরা অবাক হলেও সমর্থন জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করেছেন, কিন্তু এখনও কোনো রফাসূত্র বের হয়নি।



রায়গঞ্জে অভিনব প্রতিবাদ: শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণপত্রে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নেমেছেন এবং তারা বিচারের দাবি তুলেছেন। এই প্রেক্ষাপটে, রায়গঞ্জের ডাক্তার দেবব্রত রায় তার প্রেসক্রিপশনে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ লিখে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এবার এই প্রতিবাদ নতুন মাত্রা পেয়েছে শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণপত্রে।

প্রতিমা দত্ত নামে একজন স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার প্রয়াণের পর তার ছেলে শুভ্রজ্যোতি দত্ত নিমন্ত্রণপত্রে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ লিখে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন। তিনি জানান, তার মায়ের মৃত্যুর সময় এইভাবে প্রতিবাদ জানাতে চেয়েছেন, যাতে সবাই বিচারের দাবি তুলতে সচেষ্ট হন।

শুভ্রজ্যোতি দত্ত বলেন, “আমার মা দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন এবং তিনি সবসময় প্রতিবাদের জন্য উৎসাহিত করতেন। তাই আমি এই কার্ডের মাধ্যমে বার্তা পৌঁছাতে চাই।” এই অভিনব প্রতিবাদ দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে সমর্থন জানিয়েছেন।

জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এখনও চলমান, এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের শান্ত করার চেষ্টা করছেন। তবে এখনও কোনো রফাসূত্র বের হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণপত্রে এই ধরনের প্রতিবাদ সত্যিই চমকপ্রদ।

মায়ের শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণপত্রে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ কেন লেখা হলো?

মায়ের শ্রাদ্ধের নিমন্ত্রণপত্রে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ লেখা হয়েছে যাতে সমাজে বিচার পাওয়ার দাবি জানানো যায়। এটি একটি অভিনব প্রতিবাদ।

রায়গঞ্জে এই প্রতিবাদ কিভাবে অনুষ্ঠিত হলো?

রায়গঞ্জে মায়ের শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণপত্রে এই বার্তা লিখে প্রতিবাদ করা হয়। এটি একটি শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ছিল।

এটি কি শুধুমাত্র স্থানীয় সমস্যা, নাকি বৃহত্তর?

এটি শুধুমাত্র স্থানীয় সমস্যা নয়, বরং সমগ্র সমাজে বিচারহীনতার বিরুদ্ধে একটি বৃহত্তর প্রতিবাদ।

প্রতিবাদের উদ্দেশ্য কি?

প্রতিবাদের উদ্দেশ্য হলো নির্যাতিতদের জন্য ন্যায় বিচারের দাবি জানানো এবং সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

এ ধরনের প্রতিবাদ কি সাধারণত কার্যকর হয়?

হ্যাঁ, এ ধরনের প্রতিবাদ সাধারণত সমাজে আলোচনা সৃষ্টি করে এবং ন্যায়ের জন্য আন্দোলনকে শক্তিশালী করে।

Leave a Comment