শিল্প হাসপাতালের নার্স ধর্ষণে আন্দোলন, পুলিশ নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে

কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় রাজপথে জোর আন্দোলন চলছে। বিভিন্ন সংগঠন এবং ছাত্র সমাজের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা, স্লোগান উঠছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে মন্তব্য করেছেন, যা বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, পুলিশের কিছু ভুল রয়েছে, যদি না থাকত তাহলে মানুষের ক্ষোভ এত বাড়ত না। এদিকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই বিষয় নিয়ে কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছেন। বর্তমানে এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন এবং কলকাতা পুলিশের বদলে সিবিআই তদন্ত করছে। বিরোধীরা পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করছে।



আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন: রাজপথে আন্দোলন

কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে যেখানে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনাটি সামনে আসার পর জুনিয়র ডাক্তার, নাগরিক সমাজ এবং ছাত্রসমাজ রাজপথে নেমে আন্দোলন শুরু করেছে। স্লোগান উঠছে—‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। এই ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ কিছু ভুল করেছে, আর তাই মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। প্রাক্তন আইপিএস অফিসার হিসেবে তার এই মন্তব্য এখন জোর আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

এদিকে, মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই বিষয়ে কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু বিভিন্ন বিধায়ক ও নেতাদের মন্তব্য পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে। কারণ, এই মামলা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের বিতর্কিত মন্তব্যের ফলে জনগণের মধ্যে আরও অসন্তোষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিরোধীরা কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ দাবি করেছেন। হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘তদন্ত নিয়ে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ১৪ অগস্টের হামলার পরে হাসপাতালের ডেপুটি সুপার প্রথমে অসুস্থতার কথা বলেছিলেন, পরে আত্মহত্যার কথা। এখন দেখা যাচ্ছে ধর্ষণ করে খুন। পুলিশের উপর চাপ পড়ছে।’

বর্তমানে কলকাতা পুলিশের কাছে তদন্ত নেই, এটি সিবিআইয়ের হাতে রয়েছে। ডিসি ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে জানান, পুলিশ নির্যাতিতার বাড়িতে ফোন করে কোনো খবর দেয়নি। হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে দক্ষ অফিসাররা রয়েছেন। সিবিআইয়ের থেকে এগিয়ে আছে কলকাতা পুলিশ।’

এই ঘটনার পর রাজ্যের প্রশাসনিক বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী, যেখানে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা হতে পারে।

প্রশ্ন ১: হুমায়ুন কবীরের মন্তব্য কেন গুরুত্বপূর্ণ?

উত্তর: হুমায়ুন কবীর একজন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার, তাই তার মন্তব্য পুলিশের কাজ ও কার্যক্রম নিয়ে বিশেষ গুরুত্ব রাখে।

প্রশ্ন ২: পুলিশের ভুলের কথা বলার কারণ কী?

উত্তর: তিনি মনে করেন পুলিশের কিছু ভুল থাকতে পারে যা জনসাধারণের নিরাপত্তা এবং বিশ্বাসে প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রশ্ন ৩: এই মন্তব্যের ফলে কি পুলিশি কার্যক্রমে পরিবর্তন আসতে পারে?

উত্তর: হ্যাঁ, এই মন্তব্য পুলিশকে নিজেদের কার্যক্রম পর্যালোচনা করতে এবং উন্নতি করতে উদ্ভুদ্ধ করতে পারে।

প্রশ্ন ৪: সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে?

উত্তর: সাধারণ মানুষ পুলিশ সম্পর্কে তাদের বিশ্বাস এবং নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হতে পারে।

প্রশ্ন ৫: এই পরিস্থিতিতে কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত?

উত্তর: পুলিশ কর্তৃপক্ষকে তাদের কার্যক্রম নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা উচিত এবং জনগণের মতামত শুনতে হবে।

Leave a Comment