শাহরুখ-আমিরের পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা: পরিবারের ইতিহাসের কাহিনী

শাহরুখ খান ও আমির খানের পরিবারগুলোর মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নতুন করে সামনে এসেছে। শাহরুখের বাবা, মীর তাজ মোহাম্মদ খান ১৯৫৭ সালে আমিরের দাদুর বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নেন, কিন্তু তিনি একটি ভোটও পাননি। এই নির্বাচনে কংগ্রেসের আবুল কালাম আজাদ জয়ী হন, যিনি আমিরের মায়ের জেঠু। দুই খানের মধ্যকার ঠাণ্ডা যুদ্ধ ও তাদের পারিবারিক ইতিহাস নিয়ে আলোচনা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সাড়া ফেলেছে। যদিও দুজনের সম্পর্ক নিয়ে খুব বেশি কথা হয় না, সম্প্রতি তারা একত্রে পারফর্ম করেছেন। শাহরুখ বর্তমানে ‘কিং’ সিনেমায় কাজ করছেন, যেখানে প্রথমবার তার মেয়ে সুহানা অভিনয় করবেন। আমিরকে শেষ দেখা গেছে ‘লাল সিং চাড্ডা’ ছবিতে।



বলিউডের খান-দানের সম্পর্ক এখন বেশ মজবুত হলেও, এক সময় শাহরুখ এবং আমিরের মধ্যে সম্পর্ক অনেকটা শীতল ছিল। শাহরুখ একবার আমিরকে ‘ছিছোড়ে’ বলে সম্বোধন করেছিলেন এবং আমিরও শাহরুখকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। তবে, এবার এই দুই পরিবারের প্রতিদ্বন্দ্বিতার একটি চমকপ্রদ ইতিহাস সামনে এসেছে যা অনেককে অবাক করবে।

শাহরুখের বাবা ও আমিরের দাদুর প্রতিদ্বন্দ্বিতা

আপনার কি জানা আছে, শাহরুখ খানের বাবা, মীর তাজ মোহাম্মদ খান, আমিরের দাদুর বিপক্ষে ভোটে লড়েছিলেন? এটি একেবারে সত্যি। ১৯৫২ সালে গুরগাঁওয়ে প্রথম লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এবং ১৯৫৭ সালে যখন দ্বিতীয় লোকসভা নির্বাচন হয়, শাহরুখের বাবা নির্দল প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন কিন্তু একটি ভোটও পাননি। সেই নির্বাচনে কংগ্রেসের আবুল কালাম আজাদ জয়ী হয়ে ছিলেন, যিনি আমিরের মায়ের জেঠু।

প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে

সম্পRecently, একটি টুইটের মাধ্যমে এই তথ্যটি সামনে আসলে, নেটিজেনরা বেশ মজা করে বলেছে, ‘শাহরুখ এবং আমিরের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা জন্মের আগেই শুরু হয়েছিল’। যদিও আমির এবং শাহরুখ তাদের সম্পর্ক নিয়ে খুব বেশি কথা বলেন না, তবে সম্প্রতি তারা একসাথে পারফর্ম করেছেন।

এই ঘটনার পর অনেকেই শাহরুখকে কটাক্ষ করেছেন এবং মন্তব্য করেছেন যে, ‘শাহরুখের পরিবার নিশ্চয়ই ধনী ছিল’। বর্তমানে শাহরুখ ‘কিং’ সিনেমার কাজ করছেন, যেখানে তিনি তার মেয়ে সুহানার সাথে অভিনয় করবেন। অন্যদিকে, আমিরকে শেষবার ‘লাল সিং চাড্ডা’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল এবং বর্তমানে তিনি নতুন ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত।

শাহরুখের বাবার শূন্য ভোট কেন হলো?

শাহরুখের বাবা শূন্য ভোট পান কারণ তখনকার রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভোটারদের মতামত তার পক্ষে ছিল না।

আমিরের দাদুর গো-হারান হার কেন হলো?

আমিরের দাদু ৫৭ সালের লোকসভা ভোটে গো-হারান হারেন কারণ তার প্রতিপক্ষের জনপ্রিয়তা বেশি ছিল।

এই ঘটনা কি আজকের তারকাদের ওপর প্রভাব ফেলেছে?

হ্যাঁ, শাহরুখ এবং আমিরের মতো তারকারা আজকাল রাজনীতি নিয়ে অনেক সচেতন এবং তাদের পরিবারের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা হয়।

শাহরুখ এবং আমিরের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে?

শাহরুখ এবং আমিরের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে তাদের অভিনয় শৈলী এবং সিনেমায় ভিন্ন ভিন্ন ধরনের চরিত্রে কাজ করা।

শাহরুখ এবং আমিরের ভক্তদের প্রতিক্রিয়া কেমন?

ভক্তরা তাদের বাবার এবং দাদুর রাজনৈতিক ইতিহাস নিয়ে বিভিন্ন মতামত প্রকাশ করছে, কিছু মানুষ সমর্থন করছে আবার কিছু সমালোচনা করছে।

Leave a Comment