রাজ্যপাল মমতাকে সতর্ক করলেন: ‘মানুষের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না’

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে কঠোর বার্তা দিলেন, বললেন, ‘বাংলার জনগণের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না।’ তিনি অভিযোগ করেন যে রাজ্যে আইন কার্যকর হচ্ছে না এবং পুলিশের একাংশ রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। রাজ্যপাল নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে পরিস্থিতির বিষয়ে জানিয়েছেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে বিচার পাওয়ার আশা জাগিয়ে রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি। সম্প্রতি প্রশাসনিক অস্থিরতা এবং পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি দাবি করেন, জনগণ আরও কার্যকর পদক্ষেপ চায়, অজুহাত নয়।



রাজ্যে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কড়া বার্তা

বাংলার রাজনীতিতে সংঘাতের আবহ এখনও বিদ্যমান। বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে একটি কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “বাংলার জনগণের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না।” রাজ্যপাল আরও উল্লেখ করেছেন যে রাজ্যে আগে একটি আইন ছিল যা সঠিকভাবে কার্যকর করা হচ্ছে না।

পুলিশের কিছু অংশের রাজনৈতিকীকরণের বিষয়েও তিনি মন্তব্য করেছেন এবং বলেছেন, “পুলিশের একটি অংশ অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছে।” রাজ্যপাল বলেন, “যারা ভুল করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। মানুষ মনে আশ্বাস থাকতে হবে যে তারা সরকারের থেকে সুবিচার পাবে। কিন্তু বর্তমানে বাংলায় সেই আশ্বাস পাওয়া যাচ্ছে না।”

তিনি নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর তাদের দুঃখের কথা শুনেছেন এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বিষয়টি জানিয়েছেন। রাজ্যপাল জানান, “গোটা বাঙালি সমাজ বিচার চাইছে এবং বিচার আসবে।” তিনি সাধারণ মানুষের ধৈর্যের পরীক্ষা নেওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন এবং বলেছেন, “মানুষ অ্যাকশন চায়, অজুহাত নয়।”

এদিকে, কোচবিহার এবং বারাসতে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, যেখানে প্রতিবাদীদের ওপর হামলা হয়েছে। এই ঘটনার পর ১৮ জন আন্দোলনকারী গ্রেফতার হন তবে আদালতে তারা মুক্তি পান। রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের কড়া বার্তা আরও অনেক প্রশ্ন উত্থাপন করছে।

প্রশ্ন ১: রাজ্যপালের বার্তা কি ছিল?

উত্তর: রাজ্যপাল বোস বলেছেন, নির্যাতিতার পরিবারকে সাহায্য করতে হবে এবং পরীক্ষার আয়োজন করা উচিত নয়।

প্রশ্ন ২: মামলার প্রেক্ষিতে মমতা ব্যানার্জির প্রতিক্রিয়া কি?

উত্তর: মমতা এখনও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি, তবে তিনি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন।

প্রশ্ন ৩: নির্যাতিতার পরিবার কি রাজ্যপালের কাছে সাহায্য চেয়েছে?

উত্তর: হ্যাঁ, নির্যাতিতার পরিবার রাজ্যপালের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছে সাহায্যের জন্য।

প্রশ্ন ৪: RG কারের ঘটনায় কি ঘটেছিল?

উত্তর: RG কারের ঘটনায় একটি গুরুতর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে আলোচনা চলছে।

প্রশ্ন ৫: এই পরিস্থিতিতে পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে পারে?

উত্তর: রাজ্য সরকার ও পুলিশের তরফ থেকে তদন্ত শুরু হবে এবং নির্যাতিতার পরিবারকে সাহায্য করার চেষ্টা করা হবে।

Leave a Comment