তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আরএন রবি ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা একটি ইউরোপীয় ধারণা’, যা কংগ্রেসের কাছে খুবই আপত্তিকর মনে হচ্ছে। কংগ্রেস অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগের দাবি তুলেছে। সিপিআইএমের নেত্রী বৃন্দা কারাটও তাঁর মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রবল আক্রমণ করেছেন, বলছেন যে এমন একজন ব্যক্তিকে রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত করা লজ্জাজনক।
তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল ঠিক কী বলেছিলেন?
রবিবার কন্যাকুমারী জেলায় এক অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল বলেছেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা কি? এটি একটি ইউরোপীয় ধারণা।’ তিনি ভারতীয় রাজনৈতিক ইতিহাসেও আক্রমণ করেছেন, দাবি করেন যে ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থার সময় সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা যুক্ত করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী যেটা করতে চাইছেন, সেটাই বলছেন রাজ্যপাল
এই মন্তব্যের পর কংগ্রেসের নেতা জয়রাম রমেশ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি সাংবিধানিক পদে থাকা একজনের জন্য অগ্রহণযোগ্য।’ রমেশের মতে, রাজ্যপাল যা বলছেন, তা আসলে প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব প্রতিফলিত করছে।
এরকম ব্যক্তি রাজ্যপাল? লজ্জার বিষয়, তোপ কারাটের
বৃন্দা কারাট বলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা আমাদের সংবিধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।’ তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে রাজ্যপাল ভবিষ্যতে ভারতের সংবিধানকেও বিদেশি ধারণা বলে দাবি করতে পারেন।
১. রাজ্যপাল কী বলেছেন ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে?
রাজ্যপাল বলেছেন, ধর্মনিরপেক্ষতা ইউরোপের একটি ধারণা, যা ভারতের সংস্কৃতির সঙ্গে মেলে না।
২. কেন রাজ্যপালের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে?
মন্তব্যটি ধর্মনিরপেক্ষতার উপর আক্রমণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা দেশের বিভিন্ন ধর্মের মানুষকে একত্রিত করতে সহায়তা করে।
৩. ধর্মনিরপেক্ষতা কি ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ?
হ্যাঁ, ধর্মনিরপেক্ষতা ভারতীয় সমাজের বৈচিত্র্যকে সমর্থন করে এবং সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করে।
৪. রাজ্যপালের মন্তব্যের বিরুদ্ধে কারা প্রতিবাদ জানাচ্ছে?
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সমাজের অনেক মানুষ রাজ্যপালের মন্তব্যের বিরুদ্ধে নিজেদের মতামত প্রকাশ করছে।
৫. রাজ্যপালের মন্তব্যের পরে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে?
রাজ্যপালের মন্তব্যের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক আলোচনা এবং প্রতিবাদের সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু তাৎক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ এখনও জানান হয়নি।