মোদীর সংবিধানচর্চা: রাজনৈতিক দলদাসীতা, আদালতের স্বাধীনতার প্রশ্নে কপিল সিবলের প্রতি চিরন্তন ইঙ্গিত

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৭৫তম সংবিধান দিবসে বলেছেন, তিনি সংবিধানের গণ্ডীর মধ্যে থেকেই কর্তব্য পালন করেন। সুপ্রিম কোর্টে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে মোদী কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিবলের মন্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, বিচারব্যবস্থা স্বাধীন রাখতে সরকারের কর্তব্য মনে করিয়ে দিতে হবে। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার স্মরণও করেছেন তিনি এবং সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন, বিচারকরা জনগণের অধিকারের ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেন। এই অনুষ্ঠানে বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও দায়বদ্ধতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।



প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্য ৭৫তম সংবিধান দিবসে

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার ৭৫তম সংবিধান দিবস উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্টে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী তাঁর যে কর্তব্য রয়েছে, তা পালন করতে গিয়ে তিনি সব সময় সংবিধানের সীমার মধ্যে নিজেকে রাখার চেষ্টা করেছেন।

মোদীর এই মন্তব্যের পেছনে রাজনৈতিক কারণে কানাঘুষা চলছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তিনি এই মন্তব্যটি করেছেন কংগ্রেস নেতা কপিল সিবলের উদ্দেশ্যে, যিনি সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছিলেন। কপিল সিবল দাবি করেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টকে সরকারের কর্তব্য সম্পর্কে বারবার মনে করিয়ে দিতে হবে এবং বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা রক্ষা করা জরুরি।

মোদী এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘একজন জ্ঞানী ব্যক্তি এই বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। তাই আমি আমার বক্তব্য পেশ করছি।’ তিনি ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার স্মৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ওই দিন যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের কথা ভুললে চলবে না।

সন্ত্রাসবাদীদের উদ্দেশে মোদী কড়া বার্তা দেন এবং বলেন, যারা ভারতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে, তাদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। তিনি পূর্ববর্তী সরকারের সমালোচনা করে বলেন, মুম্বই হামলার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। তিনি বলেন, বিচারপতিরা মানুষের অধিকারের বিষয়গুলি নিয়ে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেন এবং জনগণের বিশ্বাস বিচার বিভাগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন ১: মোদীজি ২৬/১১ সম্পর্কে কেন কথা বললেন?

উত্তর: মোদীজি বললেন যে, ২৬/১১ আমাদের দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। তিনি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছেন।

প্রশ্ন ২: মোদীজি কীভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন?

উত্তর: মোদীজি বলেছেন, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করা হবে।

প্রশ্ন ৩: সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে?

উত্তর: সরকারের তরফ থেকে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রশ্ন ৪: সংবিধান দিবসে এই বার্তা দেওয়ার কি বিশেষ তাৎপর্য আছে?

উত্তর: সংবিধান দিবস আমাদের দেশের মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতার প্রতীক। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য এটি একটি শক্তিশালী বার্তা।

প্রশ্ন ৫: সাধারণ মানুষের কী ভূমিকা থাকতে পারে?

উত্তর: সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে হবে এবং কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলে প্রশাসনকে জানাতে হবে।

Leave a Comment