মেডিকেল ছাত্রদের বিক্ষোভ: উত্তরবঙ্গে থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রদের মধ্যে থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে হাসপাতালটি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দখলে। চিকিৎসক ও প্রশাসনের মধ্যে তৃণমূলের প্রভাব এতটাই প্রবল যে অনেকেই ভয়ে মুখ খুলতে পারেননি। তবে সম্প্রতি জুনিয়র চিকিৎসকরা ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। তাঁদের দাবি, হাসপাতালের নর্থবেঙ্গল লবি আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে আরও শক্তিশালী হয়েছে। শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ও তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁদের নাম প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা বলছেন, দিনের পর দিন এই থ্রেট কালচার চলতে থাকলে আর সহ্য করা হবে না।



উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে ছাত্রদের বিক্ষোভ

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং পাশের ডেন্টাল কলেজের পরিস্থিতি সম্প্রতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই মেডিক্যাল কলেজটি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দখলে চলে গেছে। তবে এবার মেডিক্যাল পড়ুয়ারা থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। তাদের বিক্ষোভে দেখা যাচ্ছে একেবারে জোরালো আওয়াজ।

স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দাপটের কারণে অনেকেই এতদিন মুখ খুলতে সাহস পাননি। কিন্তু বর্ধমানসহ গোটা রাজ্যে যখন থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ উঠতে শুরু করেছে, তখন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজও এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে।

বুধবার মেডিক্যাল পড়ুয়ারা দলে দলে বেরিয়ে আসেন এবং রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান, প্রিন্সিপাল, সুপার ও তৃণমূল ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক নেতাকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করেন। গত কয়েকদিনের আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে ‘নর্থবেঙ্গল লবি’র কথা ঘুরে ফিরে আসছে। ছাত্রদের দাবি, এই লবির সদস্যদের নাম প্রকাশ করা হোক।

জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একটি ছাত্র নেতা ও তার গোষ্ঠী এনবিএমসিতে প্রভাবশালী। তাদের কথার বাইরে কিছুই হয় না এবং প্রশাসনিক সিদ্ধান্তেও তারা হস্তক্ষেপ করেন। হস্টেলে তাদের দ্বারা হুমকির ঘটনাও ঘটছে।

রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান গৌতম দেবকে ঘিরেও বিক্ষোভ চলছে। আন্দোলনকারীরা দাবি করছেন, আরজি কর কাণ্ডের পর অভীক দে যেন কলেজে আসতে না পারে। গৌতম দেবের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে, যদিও তিনি বিভিন্নভাবে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা তাদের দাবি থেকে পিছু হটতে রাজি নন।

প্রশ্ন ১: NBMC প্রতিবাদ কেন হচ্ছে?

উত্তর: NBMC প্রতিবাদ হচ্ছে তৃণমূলের কিছু সদস্যদের হুমকির বিরুদ্ধে, যারা চিকিৎসকদের এবং শিক্ষকদের ভয় দেখাচ্ছে।

প্রশ্ন ২: এই প্রতিবাদের মূল দাবী কী?

উত্তর: প্রতিবাদের মূল দাবী হল ‘থ্রেট কালচার’ বন্ধ করা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

প্রশ্ন ৩: কবে থেকে এই প্রতিবাদ শুরু হয়েছে?

উত্তর: এই প্রতিবাদ কিছুদিন আগে শুরু হয়েছে, যখন চিকিৎসকরা হুমকির শিকার হন।

প্রশ্ন ৪: প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করতে পারি কি?

উত্তর: হ্যাঁ, যে কেউ প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করতে পারে, বিশেষ করে যারা চিকিৎসা বা শিক্ষার সাথে যুক্ত।

প্রশ্ন ৫: প্রতিবাদের ফলে সরকারের কোন পদক্ষেপ হচ্ছে কি?

উত্তর: সরকারিভাবে এখনও স্পষ্ট কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি, তবে প্রতিবাদকারীরা তাদের দাবী নিয়ে সোচ্চার।

Leave a Comment