মমতার পথ ধরে মোদীর ‘বিদ্যালক্ষ্মী’: শিক্ষার আলোয় রাজনীতির ছায়া

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের অনুকরণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন ‘পিএম বিদ্যালক্ষ্মী’ প্রকল্প চালু করেছেন। এই প্রকল্পে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণের সুবিধা পাবেন ছাত্রছাত্রীরা, যেখানে কেন্দ্র ৭৫ শতাংশ গ্যারান্টার হিসেবে থাকবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মতোই, এই প্রকল্পে বার্ষিক ৮ লক্ষ টাকার নিচে আয়ের পরিবারগুলোর জন্য বিশেষ সুবিধা রয়েছে। ৪.৫ লক্ষ টাকার কম আয়ের পরিবারের জন্য সম্পূর্ণ সুদ মুকুব করা হবে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার মডেল অনুসরণ করছে, যা উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।



বাংলার মডেল অনুসরণ করছে কেন্দ্র, পিএম বিদ্যালক্ষ্মী প্রকল্পের ঘোষণা

এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথেই হাঁটলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ইস্তেহারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এই কার্ডের মাধ্যমে ন্যূনতম সুদে ১০ লক্ষ টাকা শিক্ষাঋণের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। এবার একই পথে হেঁটে ‘পিএম বিদ্যালক্ষ্মী’ প্রকল্প চালু করল মোদী সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পড়ুয়ারা ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন, তবে এখানে ৭৫ শতাংশের গ্যারান্টার থাকবে কেন্দ্র। বাংলার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ১০০ শতাংশ গ্যারান্টার থাকে।

আজ, বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এক্স হ্যান্ডেলে এ বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি জানান, কেন্দ্রের ‘পিএম বিদ্যালক্ষ্মী’ প্রকল্প বাংলার অনুকরণে তৈরি হয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের খরচ বেশি হওয়ায় অনেক মেধাবী ছাত্র উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ কথা মাথায় রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করেছিল। প্রধানমন্ত্রীর নয়া প্রকল্পে বার্ষিক ৮ লক্ষের নিচে আয়ের পরিবারের সন্তানদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে, কো–ল্যাটারাল বা গ্যারান্টার ছাড়াই।

আরও পড়ুন: ‘উনি এই রাজ্যের ইতিহাস ভূগোল জানেন না’, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে আক্রমণ কুণালের

যে পরিবারগুলির বার্ষিক আয় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা, তাদের ক্ষেত্রে পুরো ‘ইন্টারেস্ট সাবভেনশন’ থাকবে, যার অর্থ— ঋণগ্রহীতাকে সুদ দিতে হবে না। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানে পঠনপাঠনের জন্য এই ঋণ দেওয়া হবে এবং যে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবেন, তার এনআইআরএফ র‌্যাঙ্কিং অবশ্যই একশোর মধ্যে হতে হবে। প্রত্যেক বছর ১ লক্ষ ছাত্রকে ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিদ্যালক্ষ্মী যোজনা পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘এই প্রকল্পে ঋণ পেতে গেলে গ্যারান্টার লাগবে না। প্রধানমন্ত্রী চান, কোনও মেধাবী পড়ুয়া যেন উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়।’

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে উচ্চশিক্ষার জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ মেলে, যেখানে রাজ্য সরকারই গ্যারান্টার। তাই ব্রাত্য বসু আজ এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘বাংলার যে মডেল তৈরি হয়েছে সেটাই নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্রীয় সরকার অনুসরণ করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পিএম বিদ্যালক্ষ্মী প্রকল্প, বাংলার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের লাইনে তৈরি হয়েছে। বাংলা আবার কেন্দ্রকে অনুপ্রাণিত করল।’

১. বাংলা আবার কেন্দ্রকে অনুপ্রাণিত করল বলতে কি বোঝানো হয়েছে?

বাংলা আবার কেন্দ্রকে অনুপ্রাণিত করল মানে বাংলা রাজ্য কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু নীতি ও প্রকল্পকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখিয়েছে এবং নতুন উদাহরণ উপস্থাপন করেছে।

২. পিএম বিদ্যালক্ষ্মী প্রকল্প কি?

পিএম বিদ্যালক্ষ্মী প্রকল্প একটি কেন্দ্রীয় সরকারী উদ্যোগ, যা মেয়েদের শিক্ষা এবং তাদের স্কুলে ভর্তি হওয়ার প্রক্রিয়া উন্নত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

৩. ব্রাত্য বসুর মন্তব্যের উদ্দেশ্য কি?

ব্রাত্য বসু কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং বাংলা রাজ্যের উদ্যোগগুলোর সাফল্য তুলে ধরতে চেয়েছেন।

৪. এই প্রকল্পের মাধ্যমে কি সুবিধা পাওয়া যাবে?

এই প্রকল্পের মাধ্যমে মেয়েরা শিক্ষা লাভের সুযোগ পাবে, যা তাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নে সাহায্য করবে।

৫. কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে কি ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন?

কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে সহযোগিতা প্রয়োজন যাতে রাজ্যের প্রকল্পগুলোকে কেন্দ্রীয় সমর্থন মেলে এবং সঠিকভাবে কার্যকর করা যায়।

Leave a Comment