মমতার আশ্বাসে আন্দোলনকারীদের জয়: স্বাস্থ্য সেক্টরে পরিবর্তনের সুর বাজছে, নাকি শুধুই ঢাকের আওয়াজ?

জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের মধ্যে কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের ৫ দফা দাবি মেনে নিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের অপসারণের। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিনীত গোয়েলকে সরানো হবে এবং স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আরো কয়েকজন কর্মকর্তাকেও অপসারণ করা হবে। আন্দোলনকারীরা বলছেন, রাজ্য প্রশাসনের কাছে তাদের দাবি পূরণের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। তারা জানান, আন্দোলন এখনও শেষ হয়নি এবং যতদিন না তাদের সকল দাবি বাস্তবায়িত হচ্ছে, তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রয়োজন এবং স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে ভয়ের সংস্কৃতি দূর করতে হবে।



জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে প্রশাসনের নতি স্বীকার

ধর্নাস্থলে ফিরে আসতেই ঢাক বাজিয়ে আন্দোলনকারীরা শঙ্খধ্বনি দিলেন। চারপাশে উঠল জয় আন্দোলনের জয় স্লোগান।

‘আমরা পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করতে বলেছিলাম। দীর্ঘ আলোচনা শেষে কিছু সদর্থক সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে সরাবেন। আমাদের আন্দোলনের জয়ের ফলস্বরূপ ডিএমই ও ডিএইচএসকেও সরানো হবে। ৩৮ দিন পরে সাধারণ মানুষের আন্দোলনের চাপে রাজ্য প্রশাসন নতি স্বীকার করেছে। তবে, এখনও কিছু দাবি বাস্তবায়নের জন্য আলোচনা প্রয়োজন। যতক্ষণ না পর্যন্ত বাস্তবায়ন হচ্ছে, কর্মবিরতি তোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না,’ বলেন এক জুনিয়র ডাক্তার।

অন্য এক জুনিয়র ডাক্তার জানান, ‘আমাদের প্রশাসনের কাছে নির্দিষ্ট দাবি ছিল। এই জয় সকলের। ডিসি নর্থকে সরানো হয়েছে, কিন্তু স্বাস্থ্য সচিবকে কেন সরানো হবে না? আমাদের কলেজগুলোতে ভয়ভীতি চলতে পারে না। গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’

আন্দোলনকারীরা জানান, ‘আমরা প্রশাসনের কাছে বিনম্রভাবে গিয়েছি। আমাদের আন্দোলন চলবে, আজ কেবল একটি উইকেট পড়েছে।’

এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জুনিয়র ডাক্তারদের একাধিক দাবি মেনে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে সরানো হবে। মঙ্গলবার বিকেল চারটের মধ্যে নতুন পুলিশ কমিশনার নিয়োগ করা হবে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী ও স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েককেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন ১: জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি তুলল কেন?

উত্তর: জুনিয়র ডাক্তাররা সরকারকে নির্দেশ দিয়ে বলেছে তারা কর্মবিরতি তুলছে, কারণ তারা সরকারের নতি স্বীকার করেছে।

প্রশ্ন ২: এই সিদ্ধান্তের পেছনে কি কারণ ছিল?

উত্তর: ডাক্তারদের দাবি মেনে নেওয়া হয়নি এবং তারা বুঝতে পেরেছে যে পরিস্থিতি সামলানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।

প্রশ্ন ৩: এখন ডাক্তারদের কাজের পরিস্থিতি কেমন?

উত্তর: ডাক্তাররা এখন আবার কাজ শুরু করেছে, তবে তারা ভবিষ্যতে আরও দাবি নিয়ে আলোচনা করতে চায়।

প্রশ্ন ৪: রোগীরা কি এখন চিকিৎসা পাচ্ছে?

উত্তর: হ্যাঁ, রোগীরা এখন চিকিৎসা পাচ্ছে, কারণ ডাক্তাররা আবার তাদের দায়িত্ব পালন শুরু করেছে।

প্রশ্ন ৫: জুনিয়র ডাক্তারদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

উত্তর: তারা সরকারের সাথে আরও আলোচনা করে তাদের দাবি আদায়ের চেষ্টা করবে এবং স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের জন্য কাজ করবে।

Leave a Comment