ভারত-চিনের সামরিক পরিশীলনে, সম্পর্কের প্রগাঢ়তা নাকি শুধুই মিথ্যার আবরণ?

ভারত ও চিন সম্প্রতি লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে এবং সেখানে প্রথম দফার টহল সম্পন্ন করেছে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও ওয়াং ই-এর মধ্যে ব্রাজিলের জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে বৈঠক হয়, যেখানে তারা দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। লাদাখের ডেমচক ও ডেপস্যাঙ এলাকায় সেনা প্রত্যাহারের পর, দুই দেশের মধ্যে যৌথ টহল শুরু হয়েছে। এই পদক্ষেপে দুই দেশের মধ্যে আস্থা বাড়ানোর আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। এছাড়া, নিয়মিত বৈঠকের মাধ্যমে সেনাদের মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখা হবে।



ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক: লাদাখের পরিস্থিতি উন্নতির দিকে

কয়েকদিন আগে ভারতের সেনা লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে, যা চিনের সেনার সঙ্গেও সমন্বয়ের মাধ্যমে হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে অনুষ্ঠিত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে মুখোমুখি হন। বৈঠকের পর জয়শঙ্কর জানান, ভারত ও চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কিভাবে আরও শক্তিশালী করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

লাদাখে উত্তেজনা কমাতে ভারত ও চিন সাম্প্রতিক সময়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে এবং এই চুক্তির আওতায় ডেমচক এবং ডেপস্যাঙ থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দুই দেশের সেনা যৌথভাবে টহল প্রদান করবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে আস্থা জন্মানোর আশা করা হচ্ছে।

এদিকে, লাদাখের ডেমচক এবং ডেপস্যাঙে প্রায় সাড়ে ৪ বছর পর ভারতীয় সেনা টহল শুরু করেছে। রিপোর্টে জানা গেছে, ২০২০ সালের সংঘাতের আগে যে অঞ্চলে ভারতীয় সেনা টহল দিত, তারা এখনো সেখানেই টহল দিচ্ছে। সেনা প্রত্যাহারের পর, দুই পক্ষই নিশ্চিত করেছে যে, তাদের প্রত্যাহার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে কি না।

এই বৈঠক ও টহল কার্যক্রম দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

জয়শংকরের বক্তব্য কী ছিল?

জয়শংকর বলেছেন, ভারত ও চিনের সম্পর্ক উন্নত করার জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা জরুরি।

এই বৈঠকে কি মূল বিষয় ছিল?

মূল বিষয় ছিল লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (LAC) থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং সীমান্ত পরিস্থিতি।

কেন এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ?

এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে প্রথম মুখোমুখি আলোচনা, যা সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করবে।

বৈঠকে কী ধরনের আলোচনা হয়েছে?

বৈঠকে সীমান্ত সমস্যা, নিরাপত্তা এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক কেমন চলেছে?

সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা উত্তেজনাপূর্ণ ছিল, তবে এই বৈঠক সম্পর্কের উন্নতি আশা জাগিয়েছে।

Leave a Comment