বেঙ্গালুরুর ভাষা বিতর্ক: খাবারের ডেলিভারিতে কন্নড়ের আবশ্যকতা, নাকি রাষ্ট্রভাষার অবমূল্যায়ন?

বেঙ্গালুরুর খাবার ডেলিভারি সার্ভিস সুইগিতে কাজ করতে চাইলে কন্নড় ভাষা জানা আবশ্যক, এমনই দাবি করেছেন এক মহিলা গ্রাহক। তিনি জানান, ডেলিভারি বয় তাঁর ভাষা না জানার কারণে রেগে যান। মহিলা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অভিযোগ করেন যে, শহরে কন্নড় ভাষী ডেলিভারি এজেন্টের অভাব রয়েছে। তাঁর পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়, যেখানে তিনি বেঙ্গালুরুকে পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনা করেন। নেটিজেনরা নানা মন্তব্য করে মহিলার বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন, বলেছেন যে ভারত ভাষার বৈচিত্র্য নিয়ে গঠিত এবং সব ভাষাকেই সম্মান করা উচিত। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে, বেঙ্গালুরুর ভাষা সমস্যা নিয়ে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।



বেঙ্গালুরুতে খাবার ডেলিভারির কাজ করতে গেলে কন্নড় ভাষা জানা খুবই জরুরি। যদিও ইংরেজি জানা থাকলে চলবে, কিন্তু হিন্দি জানাটা এখানে তেমন প্রয়োজনীয় নয়। সম্প্রতি, এক মহিলা গ্রাহক সুইগির মাধ্যমে খাবার অর্ডার দেওয়ার পর ডেলিভারি বয়ের কন্নড় ভাষা না জানার কারণে রেগে যান। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন, যা দেখে নেটিজেনদের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

আসলে কী ঘটেছে

ভারতে ভাষার নিয়ে বিরোধ নতুন কিছু নয়, বিশেষ করে দক্ষিণ ও উত্তর ভারতে। বেঙ্গালুরুর এক মহিলা কন্নড় না জানার জন্য সুইগি ডেলিভারি বয়ের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ করেছেন এবং জানিয়েছেন যে শহরে কন্নড় ভাষী ডেলিভারি এজেন্টের অভাব তাকে হতাশ করেছে। তাঁর পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ২.৫ লক্ষেরও বেশি বার দেখা হয়েছে।

মহিলা এক্স প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘বেঙ্গালুরু কি কর্ণাটকের নাকি পাকিস্তানের? আপনার ডেলিভারি বয় কন্নড় বা ইংরেজি বোঝে না, তাহলে কি আশা করছেন যে আমরা আমাদের এলাকায় হিন্দি শিখব?’ তিনি সুইগির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে তারা গ্রাহকদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে এবং দাবি করেছেন যে ডেলিভারি বয়কে কন্নড় ভাষা জানতে হবে।

মহিলার এই মন্তব্যের জন্য অনেকেই তাকে কটাক্ষ করেছেন। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘ভারতে প্রতি ৫০ কিলোমিটারে ভাষা পরিবর্তিত হয়, তবে তামিল এবং কন্নড় ভাষীদের মতো কেউ তাঁদের ভাষা নিয়ে এতটা কঠোর নন।’ অন্য একজন বলেন, ‘একজন ডেলিভারি বয়ের কাজ খাবার পরিবেশন করা। আপনি কি আশা করেন যে তাঁরা খাবার পরিবেশন করার জন্য আলাদা করে কন্নড় শিখবেন?’

কিছু ব্যবহারকারী মহিলার মতামতকে চ্যালেঞ্জ করেছেন এবং বলেছেন, ‘বেঙ্গালুরু কি কর্ণাটকের নাকি ইংল্যান্ডের? ইংরেজি মূলত কর্ণাটকের নিজস্ব ভাষা নয়।’

এই ভাষার সমস্যার কারণে অনেক বহুজাতিক সংস্থাকে কর্ণাটক ত্যাগ করতে বলা হয়েছে, যা বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপ খাত এবং বিশ্বব্যাপী খ্যাতির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তবে প্রশ্ন উঠছে, শহরটি কি প্রধান টেক হাব হিসাবে নিজের মর্যাদা বজায় রাখতে পারবে?

বেঙ্গালুরু কোথায়?

বেঙ্গালুরু ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে অবস্থিত।

বেঙ্গালুরুকে পাকিস্তানে বলা হচ্ছে কেন?

কিছু মানুষ বেঙ্গালুরুকে পাকিস্তানে বলা নিয়ে মজার ছলে কথা বলছেন, কিন্তু এটি ভুল তথ্য।

মহিলা কিসের ওপর ক্ষুব্ধ হলেন?

মহিলা সুইগির পরিষেবার মান নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন, কারণ তিনি সঠিক সময়ে খাবার পাননি।

সুইগির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশের কারণ কী?

মহিলা দেরিতে খাবার পেয়ে অসন্তুষ্ট হন এবং তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।

এটা কি সাধারণ সমস্যা?

হ্যাঁ, অনেক গ্রাহক সময়মতো খাবার না পাওয়ার কারণে অসন্তুষ্ট হয়, যা সুইগির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।

Leave a Comment