বিহার: পিকে’র ভাষায় ‘ব্যর্থ রাষ্ট্র’ অথবা উন্নয়নের নতুন সূচনা?

নতুন রাজনৈতিক দল জন সুরাজ বিহারের চারটি আসনে উপনির্বাচনে লড়াই করেছে, কিন্তু প্রত্যাশিত ফলাফল পায়নি। দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর বিহারকে একটি “ব্যর্থ রাজ্য” বলে মন্তব্য করেছেন এবং রাজ্যের উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিহারের কঠিন পরিস্থিতি এবং জনসংখ্যার কারণে উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে না। ২০২৫ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর দলের জয়ের আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি স্কুল শিক্ষার উন্নতি এবং মদ্যপানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা বলেছেন। বিহারকে উন্নতির পথে নিয়ে যেতে প্রবাসী বিহারীদের সক্রিয় সহযোগিতার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন।



প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ বিহারে উপনির্বাচনে ব্যর্থ

ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে)-এর নতুন দল জন সুরাজ প্রথমবার বিহারের চারটি আসনে উপনির্বাচনে লড়েছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত চারটিতেই তারা মুখ থুবড়ে পড়েছে। এর পরেই পিকে বিহারকে একটি ব্যর্থ রাজ্য বলে মন্তব্য করেছেন, যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি বিহারের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।

পিকে বলেন, বিহার অত্যন্ত কঠিন অবস্থায় রয়েছে এবং উন্নয়নের জন্য প্রচুর প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তিনি জানিয়েছেন, বিহার যদি একটি দেশ হতো, তবে এটি জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের ১১তম বৃহত্তম দেশ হতো। জন সুরাজের নেতা হিসেবে তিনি বিহারের উন্নয়ন নিয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন।

তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বিহারের সমাজ এখন হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে, তাঁর দলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৫ সালে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। পিকে জানিয়েছেন, যদি জন সুরাজ সরকার গঠন করে, তাহলে তাদের প্রথম অগ্রাধিকার হবে স্কুল শিক্ষার উন্নতি করা।

তিনি মদ্যপানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথাও বলেছেন, কারণ বিহারের রাজস্ব কমেছে। পিকে বলছেন, বিহারীদেরকে শুধু কথা নয়, বরং রাজ্যের উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করতে হবে। যদিও উপনির্বাচনে তাঁর দল খারাপ ফল করেছে, তবুও তিনি দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী।

পিকে বিহারের পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, “বিহার একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের উদাহরণ, যেখানে মানুষের চিন্তা কিভাবে বাঁচবে, তা নিয়ে।” তিনি জানান, বিহারের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে আমাদের সচেতন হতে হবে।

প্রশান্ত কিশোর কেন বিহারকে ব্যর্থ রাজ্য বললেন?

বিহারের উপনির্বাচনে হারের পর তিনি মন্তব্য করেছেন যে রাজ্যটি উন্নয়নের ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে।

বিহারের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের কী ধারণা?

প্রশান্ত কিশোর মনে করেন, বিহারে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের অভাব রয়েছে।

এতদিন ধরে বিহার কেন উন্নতির পথে এগোচ্ছে না?

তিনি বলেন, বিহারের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ার জন্য উন্নতি হচ্ছে না।

বিরোধীরা প্রশান্ত কিশোরের মন্তব্য নিয়ে কী বলছে?

বিরোধীরা তার মন্তব্যকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা বলে দাবি করছে।

প্রশান্ত কিশোরের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

তিনি বিহারের উন্নয়নের জন্য নতুন কৌশল নিয়ে কাজ করতে চান।

Leave a Comment