লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেও বহু পুলিশ কর্মী তাদের নিজ জেলার ফিরতে পারেননি। রাজ্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে শুক্রবার ভবানী ভবনের সামনে হাজির হন পুলিশ কর্মীদের আত্মীয়-স্বজনরা। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা এই আত্মীয়রা দাবি করেন, তাদের প্রিয়জনদের ভোটের পরও কেন ফিরিয়ে আনা হয়নি। এক পুলিশ কর্মীর বাবা জানান, তার ছেলে মালদা থেকে দার্জিলিংয়ে বদলি হয়েছেন, আর বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও বৃদ্ধ বাবা-মা রয়েছেন, যা তাদের জন্য চরম সমস্যা তৈরি করেছে। অন্যদিকে, পুলিশ কর্মীদের স্ত্রীও একই দাবিতে রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে দেখা করার জন্য অনড় রয়েছেন। পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
পুলিশ কর্মীদের নিজ জেলায় ফেরানোর দাবিতে প্রতিবাদ
বাংলায় লোকসভা নির্বাচনের পর পুলিশ কর্মীদের বদলির ঘটনা নিয়ে এখন চরম উত্তেজনা চলছে। ভোট মিটে সাড়ে তিন মাস পেরিয়ে গেলেও বহু পুলিশ কর্মী এখনও তাদের নিজ জেলায় ফিরতে পারেননি। রাজ্যের সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করতে শুরু করেছেন তাদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা। শুক্রবার রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবনের সামনে হাজির হয়েছিলেন অনেক পুলিশ কর্মীর বাবা-মা, স্ত্রী এবং অন্যান্য আত্মীয়রা।
মালদা থেকে আসা এক পুলিশ কর্মীর বাবা জানান, তার ছেলে গত নির্বাচনের সময় দার্জিলিংয়ে বদলি হয়েছিল এবং বর্তমানে পরিবারে একজন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও বৃদ্ধ বাবা-মা রয়েছেন। এই অবস্থায় পরিবারে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি সরকারের কাছে অনুরোধ জানাতে ভবানী ভবনে এসেছেন।
অন্যদিকে, বীরভূমের এক পুলিশ কর্মীর স্ত্রী জানান, তার স্বামী সিউড়িতে পোস্টিং থাকার সময় বদলি হয়ে গেছেন। তিনি দাবি করেছেন, যতক্ষণ না পুলিশ কর্মীদের নিজ জেলায় ফেরানো হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা ডিজির সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন তাদের লিখিত অভিযোগ জমা দিতে বলেছে, যা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট নন।
এমন পরিস্থিতিতে ভবানী ভবনে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এবং পুলিশ কর্মীদের স্বজনরা তাদের দাবির ভিত্তিতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে প্রস্তুত। রাজ্যের সরকারের কাছে তাদের দাবি দ্রুত সমাধান করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
প্রশ্ন ১: ভোটের পর পুলিশ কর্মীদের স্থানান্তর কেন হয়নি?
উত্তর: ভোটের পর স্থানান্তরের প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন হয়নি, এবং অনেক পুলিশ কর্মী তাদের নিজ জেলায় ফেরত যাননি।
প্রশ্ন ২: ভবানী ভবনে কেন এত ভিড়?
উত্তর: পুলিশ কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা স্থানান্তরের জন্য আবেদন করতে এবং তথ্য জানাতে ভবানী ভবনে আসছেন, তাই ভিড় বেড়েছে।
প্রশ্ন ৩: স্থানান্তরের প্রক্রিয়া কীভাবে চলছে?
উত্তর: স্থানান্তরের প্রক্রিয়া সরকারী নির্দেশিকা ও নীতিমালা অনুযায়ী চলছে, এবং তার জন্য কিছু সময় লাগবে।
প্রশ্ন ৪: কি করতে হবে যদি স্থানান্তর না হয়?
উত্তর: যদি স্থানান্তর না হয়, তবে কর্মীরা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন এবং তাদের সমস্যা জানাতে পারেন।
প্রশ্ন ৫: স্থানান্তরের জন্য কি নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে?
উত্তর: স্থানান্তরের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি, কিন্তু সরকারী দপ্তর থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।