পুলিশের পোশাকে ডাকাতি: ব্যবসায়ীর কোটি টাকা ছিনতাই!

দুর্গাপুরে একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনায় পুলিশের একটি দল নিজেদের ক্রাইম ব্রাঞ্চের সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কোটি টাকা ডাকাতি করেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে একটি এএসআই এবং সিআইডির কনস্টেবলসহ মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ব্যবসায়ী মুকেশ চাওলাকে গাড়ি থামিয়ে টাকা ছিনতাই করে। মুকেশবাবু ঘটনাটির পর থানায় অভিযোগ করেন এবং পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে। পুলিশ কমিশনার সুনীলকুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, আরও অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে এবং পুরো গ্যাং ধরা পড়বে শীঘ্রই।



দুর্গাপুরে পুলিশের ডাকাতি: ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কোটি টাকা ছিনতাই

দুর্গাপুরে ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা, যেখানে পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ পরিচয় দিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কোটি টাকার ডাকাতি করা হয়। সাদা পোশাকে থাকা কিছু পুলিশ সদস্য গাড়ি থামিয়ে ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা ছিনতাই করে। এই ঘটনার জেরে পুলিশি তদন্ত শুরু হয় এবং এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন সাসপেন্ড হওয়া পুলিশ কর্মীও রয়েছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত লুটের টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আসানসোলের এক ব্যবসায়ী মুকেশ চাওলার সঙ্গে নতুন ব্যবসার কথা বলতে দুর্গাপুরে আসেন। তিনি নগদ এক কোটি টাকা নিয়ে কলকাতার পথে যাচ্ছিলেন, তখন দুর্গাপুর থানার এলাকার ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে তার গাড়ি আটকানো হয়। পুলিশের পরিচয় দিয়ে অভিযুক্তরা তার গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চাইলে ব্যবসায়ী ভয়ে কাঁপতে থাকেন এবং তাদের হাতে টাকা তুলে দেন।

ঘটনার পর মুকেশ চাওলা দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ জানালে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে প্রথমে একজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরে বাকিদেরও ধরা পড়ে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার সুনীলকুমার চৌধুরী ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেন ডিসি (পূর্ব) অভিষেক মোদীকে। পুলিশ কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, খুব শীঘ্রই পুরো গ্যাংকে গ্রেফতার করা হবে।

এই ঘটনার ফলে দুর্গাপুরে নিরাপত্তা নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। পুলিশের এই অগণতান্ত্রিক আচরণ নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

রক্ষকই ভক্ষক বলতে কী বোঝায়?

রক্ষকই ভক্ষক বলতে বোঝায় যে, যারা আমাদের সুরক্ষা দেয়, তারা যদি আমাদের ক্ষতি করে। এই ক্ষেত্রে পুলিশের টিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

এই ঘটনার পেছনে কে দায়ী?

ঘটনার পেছনে পুলিশ টিমই দায়ী, যারা ব্যবসায়ীর গাড়ি থেকে কোটি টাকা ডাকাতি করেছে।

পুলিশ কেন ডাকাতি করেছে?

জানা যায়, পুলিশের কিছু সদস্য নিজেদের স্বার্থের জন্য এই ডাকাতি করার পরিকল্পনা করেছে।

এই ঘটনায় কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?

ঘটনার পর পুলিশ কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে।

এই ধরনের ঘটনা কি সাধারণ?

এ ধরনের ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক এবং সাধারণত পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে আশা করা হয় যে তারা জনগণের সুরক্ষায় থাকবে।

Leave a Comment