পুজোর সময় কলকাতায় ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ অনুষ্ঠিত হবে, যা জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদ হিসেবে গড়ে উঠেছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ৬৫ দিন ধরে বিচার দাবি করে আন্দোলন চলছে। যদিও পুলিশ এই কার্নিভালের অনুমতি দেয়নি, আয়োজকেরা জানান, তারা পুলিশের অনুমতি চাননি। কলকাতার রেড রোডে পুজোর অনুষ্ঠানের সময় মানববন্ধন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তারা পুজোর কার্নিভালে বাধা দেবেন না এবং গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন। কলকাতা হাইকোর্টও জানিয়েছে, পুজোর অনুষ্ঠান বিঘ্নিত করা যাবে না।
পুজোর সময় কলকাতায় একটি বিশেষ কার্নিভাল হচ্ছে, যেখানে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ নামে পরিচিত। আন্দোলনকারী ডাক্তার দেবাশিস হালদার জানিয়েছেন, তারা রাজ্য সরকারের আয়োজিত পুজোর কার্নিভালে কোনো বাধা দেবেন না। তবে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর ৬৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো বিচার মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ জানাবেন। ধর্মতলা থেকে মানববন্ধন তৈরি করা হবে।
‘দ্রোহের কার্নিভাল’-এ নেই পুলিশি অনুমতি
‘জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস’ মঙ্গলবার ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-র আয়োজন করতে চায়, কিন্তু পুলিশ অনুমতি দেয়নি। মুখ্যসচিব মনোজ পন্ত প্রাথমিকভাবে কর্মসূচি প্রত্যাহারের আর্জি জানান। এরপর পুলিশ জানিয়েছে যে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-এ অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না।
পুলিশের অনুমতি চাইনি আমরা, দাবি আয়োজকদের
আয়োজকরা দাবি করেছেন, তারা পুলিশের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করেননি। তারা জানিয়ে দিয়েছেন যে যখন রেড রোডে পুজো কার্নিভাল চলবে, তখন তারা ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ করবেন। যুগ্ম আহ্বায়ক পুণ্যব্রত গুণ বলেছেন, প্রতিবাদ করা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার।
জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তারা পুজোর কার্নিভালে কোনো বাধা দেবেন না। আন্দোলনকারী ডাক্তার কিঞ্জল নন্দ বলেছেন, তারা রাস্তার পাশে মানববন্ধন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আরও জেলায়-জেলায় প্রতিবাদ মিছিল আয়োজনের ডাক দিয়েছেন।
‘কেউ কার্নিভালকে বিঘ্নিত করতে পারবেন না’, বলেছে হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্ট সম্প্রতি নির্দেশ দিয়েছে যে ‘কেউ কার্নিভালকে বিঘ্নিত করতে পারবেন না’। এই নির্দেশের কারণে আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণ পথে প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
১. দ্রোহ কার্নিভাল কী?
দ্রোহ কার্নিভাল হলো ডাক্তারদের একটি প্রতিবাদী অনুষ্ঠান, যেখানে তারা স্বাস্থ্যসেবা ও তাদের অধিকারের জন্য আওয়াজ তোলেন।
২. কেন ডাক্তাররা এই কার্নিভাল করছে?
ডাক্তাররা তাদের কাজের পরিবেশ, সম্মান ও রোগীদের সেবার মান উন্নত করার জন্য প্রতিবাদ করছেন।
৩. হাইকোর্টের নির্দেশ কি ছিল?
হাইকোর্টের নির্দেশে ডাক্তারদের প্রতিবাদী কার্যক্রমে বাধা দেওয়া যাবে না, তাই তারা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করতে পারবেন।
৪. গান্ধীবাদী ডাক্তাররা কিভাবে প্রতিবাদ করছেন?
গান্ধীবাদী ডাক্তাররা অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের দাবি জানাচ্ছেন এবং মানুষের সমর্থন আদায় করছেন।
৫. এই কার্নিভালে অংশগ্রহণ করা কি নিরাপদ?
হ্যাঁ, ডাক্তাররা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দাবি জানাচ্ছেন, তাই অংশগ্রহণ করা নিরাপদ।