দুর্নীতির অন্ধকারে রাজ্যের ভবিষ্যৎ: বিজেপি নেতার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ

বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ রাজ্যে দুর্নীতির জন্য সিবিআইকে দায়ী করেছেন। তিনি বর্ধমানে একটি সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে বলেন, সিবিআই শাস্তি না দেওয়ার কারণে রাজ্যে দুর্নীতি বাড়ছে এবং আগামী কয়েক বছর এটি চলবে। তিনি অভিযোগ করেন যে, উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা দুর্নীতির শিকার হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। দিলীপ ঘোষ আরও জানান, নির্বাচনে গন্ডগোল হয়েছে এবং দলের দুর্বলতার কারণে বিজেপি পরাজিত হয়েছে। তিনি দোকানে গিয়ে সদস্যপদ সংগ্রহ করেন এবং মন্দিরে পুজো দেন। রাজ্যের রাজনীতিতে দুর্নীতি ও প্রশাসনিক সমস্যার বিষয়টি নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।



দিলীপ ঘোষের অভিযোগ: রাজ্যে দুর্নীতি বাড়ছে

বৃহস্পতিবার বর্ধমানে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ রাজ্যে দুর্নীতির জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, সিবিআই শাস্তি না দেওয়ায় রাজ্যে দুর্নীতি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আগামী কয়েক বছর এই অবস্থা চলবে।

দিলীপ ঘোষ আরও জানান, “আমফান, আবাস যোজনার টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে দুর্নীতি নতুন কিছু নয় এবং এটাই অব্যাহত থাকবে।” তিনি বলেন, সরকার এবং তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা এতটাই নির্ভয় হয়ে গেছেন যে কেন্দ্রীয় টাকা নিয়ে লুটপাট করতে পারছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, তৃণমূলের দান খয়রাতের প্রকল্পগুলো শুধুমাত্র তাদের ক্যাডারদের পোষণের জন্য ব্যয় হচ্ছে। “লুট হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, আর সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে,” যোগ করেন দিলীপ।

বুধবারের ভোটগ্রহণ নিয়ে তিনি বলেন, “বুথ স্তরে গণ্ডগোল হয়েছে। বাঁকুড়ার তাল ডাংরার এমপিকেই বুথ থেকে বের করে দিতে হয়েছে। তাহলে বুঝতে পারছেন কারা রিগিং করছে।”

দিলীপ ঘোষের মতে, বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা ভোটে পরাজয়ের কারণগুলো বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। তিনি জানান, দলের দুর্বলতা এবং কিছু কর্মীর ভয় থাকায় পরাজয় হয়েছে।

শেষে, দিলীপ বাবু সদস্যপদ সংগ্রহের পর বর্ধমানের দেবী সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজো দিয়ে সাধারণ মানুষের মায়ের ভোগ খাওয়ান।

সিবিআই শাস্তি দিচ্ছে না কেন?

সিবিআই শাস্তি না দেওয়ার কারণে দুর্নীতি বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, তাদের কার্যক্রমে শিথিলতা এসেছে।

মমতা কেন নির্ভয় হয়ে গেছেন?

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করছেন, সিবিআইয়ের চাপ নেই বলে তিনি আরো আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন নেই।

রাজ্যে দুর্নীতি কীভাবে বাড়ছে?

দুর্নীতি বাড়ার কারণ হচ্ছে সরকারি প্রকল্পগুলির উপর নজরদারি কমে যাওয়া এবং রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া দুর্নীতিবাজদের কার্যক্রম।

রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নেবে?

রাজ্য সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেও, কার্যকর পদক্ষেপের অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

জনসাধারণের মনোভাব কী?

জনসাধারণের মধ্যে অসন্তোষ বৃদ্ধি পাচ্ছে, কারণ তারা মনে করছেন যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

Leave a Comment