দুর্গাপুজোর আগে মমতার কপালে জলবৃষ্টির চাপ: ডিভিসি-র বিরুদ্ধে অভিযোগে রাজনীতির নতুন মোড়

দক্ষিণবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি আজ আরও খারাপ হয়েছে, কারণ ডিভিসি নিয়ন্ত্রিত বাঁধ থেকে বিপুল পরিমাণে জল ছাড়ানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দুটি চিঠি লিখে অভিযোগ করেছেন যে এই জল ছাড়ার কারণে ৫০ লক্ষ মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়েছে। মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে যথাক্রমে ৬ হাজার ও ২০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ানো হয়েছে, যা গ্রামীণ এলাকার কৃষকদের ফসলকে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। দুর্গাপুজোর আগেই এই পরিস্থিতিতে গরিব নাগরিকদের ঘরবাড়ি ভেসে গেছে, ফলে সবজির দামও আকাশ ছুঁয়েছে। রাজ্য সরকারের সম্মতি ছাড়া জল ছাড়ার অভিযোগে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।



দক্ষিণবঙ্গে ভয়াবহ বন্যা: ডিভিসির জল ছাড়ার প্রভাব

দক্ষিণবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি এখন চরমে। ডিভিসি নিয়ন্ত্রিত বাঁধ থেকে লক্ষ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, যার ফলে ব্যাপক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দুই চিঠি লিখে নালিশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দুর্গাপুরে অশান্ত ড্যামের জলরাশির দিকে তাকিয়ে প্রকৃতির শান্তির জন্য প্রার্থনা করেছেন, কিন্তু বৃষ্টি থামছে না। আজ দামোদরের দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ার ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে গেছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, রাজ্যের সম্মতি ছাড়া জল ছাড়ার ফলে এটাই ম্যান মেড বন্যা। তিনি বলেছেন, ২০০৯ সালের পর থেকে নিম্ন দামোদরে এই বন্যা সবচেয়ে ভয়াবহ। এ অবস্থায় বাংলার কৃষকদের ফসল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বাজারে সবজির দাম skyrocketed হয়ে গেছে। দুর্গাপুজোর আগে গ্রামবাংলার কৃষকেরা বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

আজ শুধু দুর্গাপুর ব্যারেজ নয়, পাঞ্চেত জলাধার থেকেও ২০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ানো হয়েছে। ডিভিসি থেকে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি তুলে নেওয়ার কারণে জল ছাড়ার বিষয়টি রাজ্যকে না জানিয়ে করা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই অবস্থায় গ্রামের মানুষদের দুর্দশা চরমে উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালেই দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ ছিল ৬০০ কিউসেক এবং ২০০ কিউসেক। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

এছাড়াও, বৃহস্পতিবার সকালে মাইথন ড্যাম থেকে ৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়ানো হয়েছিল। পাঞ্চেত জলাধার থেকেও ১৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এই কারণে বাংলার মানুষের দুর্দশা এখন চরমে পৌঁছেছে, বিশেষ করে দুর্গাপুজোর আগে।

আজ ডিভিসি জল ছাড়ছে কেন?

আজ ডিভিসি বিপুল পরিমাণ জল ছাড়ছে কারণ নদীর জলস্তর বেড়ে গেছে এবং পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য এটা জরুরি।

এতে গ্রামবাংলায় কি সমস্যা হচ্ছে?

জলছাড়ের কারণে গ্রামবাংলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, যা কৃষি এবং মানুষের জীবনে বিপর্যয় ঘটাতে পারে।

কীভাবে মানুষ এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারে?

মানুষকে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে হবে এবং স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।

সরকার কি পদক্ষেপ নিচ্ছে?

সরকার দুর্গত অঞ্চলে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে এবং উদ্ধারকারী দল পাঠাচ্ছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য।

এখন কি করণীয়?

এখন নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়া এবং আশেপাশের মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখা জরুরি, যাতে সবাই একসাথে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারে।

Leave a Comment