দুর্গাপুজোর আগে দার্জিলিং পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টির ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বুধবার রাতেও বিভিন্ন স্থানে ধসের কারণে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। ধসের ফলে আতঙ্কের পাশাপাশি, স্থানীয় পর্যটন শিল্পেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বুধবার রাতভর ১৭৫ মিমি বৃষ্টি হয়েছে, এবং আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিন আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে পুজোর সময় পর্যটকদের আগমন নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। প্রশাসন ধসের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলোর মেরামতের কাজ শুরু করেছে। পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চিন্তিত, কারণ তারা জানেন, আরও বৃষ্টি হলে পর্যটনে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে।
দার্জিলিং পাহাড়ে বৃষ্টির কারণে বিপর্যস্ত জনজীবন
দুর্গাপুজোর আগে দার্জিলিং পাহাড়ে নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে, যা জনজীবনে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। বুধবার রাতে পাহাড়ের একাধিক স্থানে ধস নামার ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। রঘুরীর রাই নামে ৭৮ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধের বাড়ি সুখিয়ার বুজুয়া এলাকায় ছিল। প্রশাসন নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছে।
বৃষ্টির ফলে দার্জিলিং রক গার্ডেন যাওয়ার রাস্তায়ও ধস নেমেছে, ফলে ওই রাস্তায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। প্রশাসন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু করেছে। আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকালে দার্জিলিংয়ে ১৭৫ মিমি বৃষ্টি হয়েছে এবং ঘূর্ণাবর্তের কারণে আরও কয়েকদিন বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
এখন পুজোর মুখে বৃষ্টির কারণে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তারা আশঙ্কা করছেন, যদি আরও বৃষ্টি হয়, তবে এটি পর্যটন শিল্পকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
দার্জিলিংয়ের পরিস্থিতি নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে উৎকণ্ঠা বাড়ছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং পুজোর মৌসুমে পর্যটন আবার স্বাভাবিক হবে।
রাতভর বৃষ্টিতে দার্জিলিং পাহাড়ে কি হয়েছে?
রাতভর বৃষ্টির কারণে দার্জিলিং পাহাড়ে ধস পড়েছে। এতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এখন দার্জিলিং পর্যটকদের জন্য নিরাপদ কি?
হ্যাঁ, তবে স্থানীয় প্রশাসন কিছু এলাকা বন্ধ রেখেছে। পর্যটকরা নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় নির্দেশনা মেনে চলুন।
পুজোর সময় দার্জিলিং ভ্রমণ করা উচিত কি?
পুজোর সময় দার্জিলিং ভ্রমণের পরিকল্পনা করলে সতর্ক থাকতে হবে। বৃষ্টির কারণে পরিস্থিতি বদলাতে পারে।
ধসের ফলে কি পরিষেবা বন্ধ হয়েছে?
ধসের কারণে কিছু রাস্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়েছে। তবে অন্যান্য পরিষেবা চালু রয়েছে।
ভ্রমণকারীরা কি করে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারেন?
ভ্রমণকারীরা স্থানীয় সংবাদ, প্রশাসনের ঘোষণার মাধ্যমে এবং অনলাইনের মাধ্যমে পরিস্থিতি জানার চেষ্টা করতে পারেন।