তরুণী চিকিৎসক হত্যার প্রতিবাদে রাজ্যে তোলপাড়, রোগীর মৃত্যু!

আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রাজ্যে তোলপাড় চলছে। জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি ও সিবিআই তদন্তের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন চলছে, কিন্তু এর ফলে বিনা চিকিৎসায় একজন যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার মা অভিযোগ করেছেন, সঠিক সময়ে চিকিৎসা হলে তার ছেলে বাঁচতে পারত। বুধবার, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতিবাদ গঠনমূলকভাবে করতে হবে, যাতে মানবতার মূল্যবোধ রক্ষা হয়। তিনি সতর্ক করেন যে আন্দোলনের ফলে চিকিৎসার অভাবে মানুষের মৃত্যু হওয়া অকল্পনীয়। এই ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।



আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার পর রাজ্যে উত্তেজনা

সম্প্রতি আরজি কর হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনা রাজ্যজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজপথে মিছিল, স্লোগান এবং জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলছে। সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। এর মধ্যেই হাসপাতালের কর্মবিরতির কারণে বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষেবা সচল রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ শুক্রবার, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বাড়িতে হানা দেয়। এরই মধ্যে এক যুবকের মা অভিযোগ করেছেন যে, বিনা চিকিৎসায় তার ছেলে মারা গেছে। বিক্রম ভট্টাচার্য নামের ওই যুবক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল, কিন্তু যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়। তার মায়ের আক্ষেপ, ‘সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলে ছেলেটা বেঁচে যেতে পারতো।’ তিনি বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে আমাদের মতো গরিব মানুষের যাওয়ার আর কোনো উপায় নেই।’

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রতিবাদ গঠনমূলকভাবে করা উচিত। যাতে মানুষ চিকিৎসার অভাবে মারা না যায়। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি ন্যায্য, কিন্তু আন্দোলনের ফলে যদি মানুষের মৃত্যু হয়, তা তো অপরাধের সমতুল্য।’

রাজ্যে এই ঘটনা রাজনীতি ও সমাজের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। চিকিৎসা সেবা নিয়ে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বেড়ে গেছে।

আরও পড়ুন: রক্ষকই ভক্ষক!‌ ব্যবসায়ীর গাড়ি থেকে কোটি টাকা ডাকাতি, গ্রেফতার পুলিশেরই টিম

প্রশ্ন ১: প্রতিবাদ সহানুভূতি কেন জরুরি?

উত্তর: প্রতিবাদ সহানুভূতি আমাদের সমাজের সমস্যা তুলে ধরে এবং মানুষের প্রতি সহানুভূতি জানায়, যা পরিবর্তনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

প্রশ্ন ২: যুবকের মৃত্যুতে আমরা কীভাবে প্রতিবাদ করতে পারি?

উত্তর: যুবকের মৃত্যুতে প্রতিবাদ করতে হলে আমাদের শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল বা আলোচনা সভা করতে হবে, যাতে সবাই বিষয়টি বুঝতে পারে।

প্রশ্ন ৩: আমাদের সমাজে সহানুভূতি কিভাবে বাড়ানো যায়?

উত্তর: সহানুভূতি বাড়ানোর জন্য আমাদের উচিত একে অপরকে সাহায্য করা, সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করা এবং একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো।

প্রশ্ন ৪: অভিষেকের পরামর্শ কীভাবে কার্যকর হবে?

উত্তর: অভিষেকের পরামর্শ কার্যকর করতে হলে আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে এবং সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজতে হবে।

প্রশ্ন ৫: আমরা কোথায় তথ্য পাবো প্রতিবাদ সম্পর্কে?

উত্তর: প্রতিবাদ সম্পর্কে তথ্য পেতে আমরা স্থানীয় সংবাদপত্র, সামাজিক মিডিয়া, এবং কমিউনিটি মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করতে পারি।

Leave a Comment