ডাক্তারদের প্রতিবাদে প্রাণহানির প্রশ্ন: ন্যায় বা অবিচার?

আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের মধ্যে এক যুবকের মৃত্যু ঘটেছে, যার কারণে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। হুগলির কোন্নগরে বাইক দুর্ঘটনায় আহত ২৪ বছরের যুবককে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসার অভাবে প্রাণ হারান। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে প্রায় ৩ ঘণ্টা ফেলে রাখা হয় এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনা নিয়ে টুইট করে ডাক্তারদের আন্দোলনের ফলে এই মৃত্যুর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক মহলে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন মতামত উঠেছে, যা এই আন্দোলনের গুরুত্বকে নতুন করে সামনে এনেছে।



রাজ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন এবং মৃত্যুর ঘটনা

আরজি কর হাসাপাতেলের ভিতরে জুনিয়র ডাক্তারকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পর বাংলার ডাক্তাররা আন্দোলনে নেমেছে। প্রায় এক মাস ধরে তাঁরা রাস্তায় বিচারের দাবিতে সরব। সমাজের বিভিন্ন মহল থেকে এই আন্দোলনের সমর্থন ও প্রতিবাদ উঠছে। তবে, শুক্রবার ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার কারণে তাঁদের আন্দোলন নতুন প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

হুগলির কোন্নগরে একটি বাইক দুর্ঘটনায় আহত ২৪ বছর বয়সী এক যুবক বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন। তরুণকে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত ডাক্তার না থাকার কারণে তাঁকে অন্য হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। ততক্ষণে যুবকটি প্রবল রক্তক্ষরণে ঝিমিয়ে পড়েন, এবং দুপুর ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

এই ঘটনার পর তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করেন। তিনি লিখেন, “কোন্নগরে বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক যুবক কার্যত কোনও চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেল। ৩ ঘণ্টা ক্রমাগত রক্তক্ষরণ হয় তাঁর। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের জন্য এই পরিণতি ঘটেছে। আমি তাঁদের দাবিগুলি ন্যায্য বলছি, কিন্তু পরিষেবা চালু রেখে প্রতিবাদ চালানোর অনুরোধ করছি।”

দেব, যিনি একজন অভিনেতা এবং তৃণমূলের সাংসদ, অভিষেকের পোস্ট শেয়ার করে লেখেন, “আমি এই প্রাণ হারানোর বিচার চাই। তবে অন্য প্রাণের বিনিময়ে নয়।”

পরিবারের অভিযোগ, যুবককে ক্রমাগত আউটডোর ও এমারজেন্সিতে পাঠানো হয় এবং প্রায় ৩ ঘণ্টা চিকিৎসা না পেয়ে প্রাণ হারান। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করে, যুবকের যথাযথ চিকিৎসা হয়েছে এবং তাঁর অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে মৃত্যু ঘটেছে।

প্রশ্ন ১: ডাক্তারদের প্রতিবাদ কেন হচ্ছে?

উত্তর: ডাক্তাররা বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন।

প্রশ্ন ২: দেব কেন এই বিষয়ে কথা বলেছেন?

উত্তর: দেব বলেছেন, তিনি প্রাণ হারানোর বিচার চান, যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।

প্রশ্ন ৩: এই প্রতিবাদে কি রোগীদের জন্য কিছু হবে?

উত্তর: প্রতিবাদে ডাক্তারদের দাবি মানা হলে রোগীদের চিকিৎসার পরিস্থিতি উন্নত হতে পারে।

প্রশ্ন ৪: রোগী মৃত্যুর ঘটনায় কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে?

উত্তর: স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তদন্ত হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রশ্ন ৫: সাধারণ মানুষ কি এই প্রতিবাদে অংশ নিতে পারে?

উত্তর: হ্যাঁ, সাধারণ মানুষও চিকিৎসা সেবার উন্নতির জন্য নিজেদের মতামত ও সমর্থন জানাতে পারেন।

Leave a Comment