এখনও কি মনে পড়ে সেই ঘটনার কথা, যেখানে চোর সন্দেহে মারধর করা হয়? তেলেঙ্গানার একটি গ্রামে সম্প্রতি এমনই একটি অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে। এক যুবককে চোর সন্দেহে পিলারের সঙ্গে বেঁধে মারধর করার পর, গ্রামবাসীরা তাকে খাবারও দিল। মারধরের মাঝে যুবক যখন খিদে পেয়েছে বলে জানায়, তখন তাকে বেঁধে রেখেই পুলিহোরা খাওয়ানো হয়। পুলিহোরা দক্ষিণ ভারতীয় একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার, যা লেবু বা তেঁতুলের টক দিয়ে তৈরি। খাবার খাওয়ার পর গ্রামবাসীরা ওই যুবককে পুলিশের কাছে তুলে দেয়। যুবকটি স্বীকার করে যে সে প্রায়ই চুরি করে, কিন্তু তার পরিবারের কেউ এ কথা জানে না। পুলিশ তাকে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়।
চোর সন্দেহে মারধরের ঘটনা তো আমরা অনেক শুনেছি, কিন্তু কখনও কি শুনেছেন যে চোর ধরার পর তাকে ভালোবেসে খাবার খেতে দেওয়া হলো? সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে তেলেঙ্গানায়, যেখানে চোরকে বেঁধে কিছুক্ষণ মারধর করার পর আবার খাবারও দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার একটি গ্রামে। সেখানে গ্রামবাসীরা এক যুবককে চোর সন্দেহে একটি পিলারের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। কিন্তু যখন ওই যুবক বললেন তার খিদে পেয়েছে, তখন বেঁধে রাখা অবস্থাতেই তাকে পুলিহোরা খেতে দেওয়া হয়।
পুলিহোরা কী?
পুলিহোরা দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে বিশেষ করে তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, কেরালায় এবং তামিলনাড়ুতে পাওয়া যায়। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী ভাতের পদ, যা লেবু বা তেঁতুলের টক দিয়ে তৈরি হয়। দক্ষিণ ভারতীয় ভাষায় ‘পুলি’ শব্দটির অর্থ টক।
বেঁধে রাখা ওই যুবককে পেট পুরে পুলিহোরা খাওয়ানোর পর গ্রামবাসীরা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। নাম পোগালা গনেশ, তিনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন যে তিনি প্রায়ই স্কুল, মন্দির বা বাড়ি থেকে চুরি করেন। তবে এই চুরির কথা তার পরিবার জানে না। পুলিশ তাকে সতর্কবার্তা দিয়ে ছেড়ে দেয়।
প্রশ্ন ১: তেলেঙ্গানায় কি ঘটেছিল?
উত্তর: তেলেঙ্গানায় কিছু মানুষ চোরকে ধরে বেঁধে মারধর করেছে, পরে তাকে খেতে দিয়েছে।
প্রশ্ন ২: লোকেরা কেন চোরকে মারধর করেছিল?
উত্তর: চোরের কাজের জন্য লোকেরা রাগ করে তাকে মারধর করেছে।
প্রশ্ন ৩: চোরকে খেতে দেওয়ার কারণ কি ছিল?
উত্তর: চোরকে মারধরের পর, তার প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে খেতে দেওয়া হয়েছিল।
প্রশ্ন ৪: এই ঘটনা সাধারণত কোথায় ঘটে?
উত্তর: এই ধরনের ঘটনা সাধারণত গ্রামীন এলাকায় বা স্থানীয় সমাজে ঘটে।
প্রশ্ন ৫: এরকম ঘটনার কি আইনগত শাস্তি হয়?
উত্তর: হ্যাঁ, এমন ঘটনার জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে এবং দোষীদের শাস্তি হতে পারে।