যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ পাঁচজনকে অভিযোগ করেছেন যারা বিভিন্ন ব্যবসায় হ্যাকিং করে ১১০ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৯২.৮ কোটি রুপি) চুরি করেছে। তারা “Scattered Spider” পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে চুরি করেছে, যা দ্রুত এবং গোপনীয়তার জন্য পরিচিত। অভিযুক্তরা হলেন আহমেদ হোসাম এলদিন এলবাদাওয়ি, নোয়া মাইকেল আরবান, ইভানস ওনিয়াকা ওসিয়েবো, টাইলার রবার্ট বুকানান এবং জোয়েল মার্টিন ইভান্স। তারা корпоратив কর্মচারীদের ম্যালিশিয়াস টেক্সট মেসেজ পাঠিয়ে ফিশিং আক্রমণ চালায়। যদি দোষী প্রমাণিত হয়, তবে প্রতিটি অভিযুক্ত ২০ বছরের বেশি কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে পারেন। ফেডারেল তদন্ত চলছে এবং ক্রিপ্টো সম্প্রদায়কে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে $11 মিলিয়নের হ্যাকিং কেলেঙ্কারি: পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জ
যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ পাঁচজনকে হ্যাকিংয়ের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে, যারা বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে $11 মিলিয়ন (প্রায় ৯২.৮ কোটি টাকা) চুরি করেছে। এই চুরির সঙ্গে জড়িত পদ্ধতি পরিচিত “স্ক্যাটারড স্পাইডার” নামে। চুরি হওয়া অর্থটি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ছিল, যা লেনদেনের দ্রুততা এবং আপাত গোপনীয়তার জন্য পরিচিত। অভিযুক্তরা হলেন আহমেদ হোসাম এলডিন এলবাদাওয়ি, নোয়া মাইকেল আরবান, এভানস অনিয়াকা ওসিবো, টাইলার রবার্ট বুখানান এবং জোয়েল মার্টিন ইভান্স। তারা এখন অভিযোগের মুখোমুখি হচ্ছেন, এবং মামলার তদন্ত চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি অফিসের একটি অফিসিয়াল ঘোষণায় বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা কোম্পানির কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ম্যালিশিয়াস টেক্সট মেসেজ পাঠিয়ে তাদের লক্ষ্যবস্তু করেছেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ভুক্তভোগীদের থেকে অর্থ এবং সংবেদনশীল তথ্য চুরি করা।
“অভিযুক্তরা সংগৃহীত কর্মচারী পরিচয়পত্র ব্যবহার করে লগ ইন করে গোপন কোম্পানি তথ্য চুরি করেছে এবং ভার্চুয়াল মুদ্রা অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে মিলিয়ন ডলার চুরি করেছে,” ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অন্তত ২৯ জন ভুক্তভোগী আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রসিকিউটরদের দাবি অনুযায়ী, এক ভুক্তভোগী $৬.৩ মিলিয়ন (প্রায় ৫৩.২ লাখ টাকা) ক্রিপ্টো সম্পদ হারিয়েছেন। এই ভুক্তভোগীর ইমেইল এবং ডিজিটাল ওয়ালেট হ্যাক করা হয়েছিল।
“কোর্টের নথি অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর ২০২১ থেকে এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত অভিযুক্তরা বিভিন্ন কোম্পানির কর্মচারীদের মোবাইল ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে ফিশিং আক্রমণ চালিয়েছে – যেগুলি ভুক্তভোগী কোম্পানি অথবা তার সংযুক্ত আইটি বা ব্যবসায়িক পরিষেবা সরবরাহকারীর পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে বলে মনে হয়েছিল,” নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
যদি অভিযুক্তরা দোষী প্রমাণিত হন, তবে প্রত্যেকেই ২০ বছরেরও বেশি কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে পারেন। এফবিআইকে আরও তদন্তের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
ফিশিং এবং হ্যাকিংয়ের ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বজুড়ে বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ ক্রিপ্টো সম্প্রদায়কে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং অজানা উৎস থেকে আগত সন্দেহজনক ইমেইলগুলি এড়াতে বলেছে।
একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, যা সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত হয়েছিল, ২০২৩ সালে ক্রিপ্টো সম্পর্কিত প্রতারণা ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে ক্ষতির পরিমাণ $৫.৬ বিলিয়ন (প্রায় ৪৭,০২৯ কোটি টাকা) ছাড়িয়ে গেছে।
প্রশ্ন ১: ‘স্ক্যাটারড স্পাইডার’ পদ্ধতি কি?
উত্তর: ‘স্ক্যাটারড স্পাইডার’ পদ্ধতি হল একটি কৌশল যা হ্যাকাররা বিভিন্ন টার্গেটে একসাথে আক্রমণ করতে ব্যবহার করে।
প্রশ্ন ২: এই ঘটনার সাথে কতজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে?
উত্তর: এই ঘটনার জন্য মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রশ্ন ৩: গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ রয়েছে?
উত্তর: তাদের বিরুদ্ধে ক্রিপ্টো মুদ্রা হ্যাকিং এবং প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে।
প্রশ্ন ৪: হ্যাকিংয়ের ফলে কি ক্ষতি হয়েছে?
উত্তর: হ্যাকিংয়ের ফলে অনেক মানুষের অর্থ ও তথ্য চুরি হয়েছে, যার ফলে বড় ক্ষতির সৃষ্টি হয়েছে।
প্রশ্ন ৫: সরকার এই ধরনের অপরাধ মোকাবেলা করার জন্য কি পদক্ষেপ নিচ্ছে?
উত্তর: সরকার এই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধের জন্য প্রযুক্তি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে কাজ করছে।