কালীর আগেই বাজির বজ্রপাত: পরিবেশের সুরক্ষায় সরকারী নির্দেশনার মুখে প্রশ্নবিদ্ধ পুলিশী কার্যকলাপ

কালীপুজোর আগে কলকাতায় বাজি ফাটানোর অভিযোগ বেড়ে গেছে, যেগুলি অধিকাংশই সবুজ বাজি নয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কালীপুজোর রাতে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাজি ফাটানোর কথা। কিন্তু, শহরের বিভিন্ন এলাকায় এর আগে থেকেই বাজি ফাটানোর ঘটনায় পরিবেশবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা অভিযোগ করেছেন যে সবুজ বাজির আড়ালে নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি হচ্ছে এবং পুলিশ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বাজির পরীক্ষা নিয়ে সমস্যা রয়েছে এবং পরিবেশ সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কলকাতা পুলিশ সতর্কতা জারি করেছে, তবে পরিস্থিতি কেমন হবে, তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।



কলকাতায় কালীপুজোর আগে বেআইনি বাজি ফাটানোর অভিযোগ

কালীপুজোর আগে কলকাতায় বেআইনি বাজি ফাটানোর ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা। শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ এসেছে যে, অনেকেই সবুজ বাজি না ফাটিয়ে নিষিদ্ধ বাজি ফাটাচ্ছেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কালীপুজোর রাতে মাত্র ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে বাজি ফাটানোর অনুমতি রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, কালীপুজোর আগেই শহরের বিভিন্ন এলাকা যেমন উত্তর পঞ্চান্নগ্রাম, পাটুলি, বালিগঞ্জ, ও ভবানীপুরে বাজি ফাটানো শুরু হয়ে গেছে।

পরিবেশবিদরা জানান, কালীপুজোর রাতে বেআইনি বাজি ফাটানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে, রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। গত বছর যেমন বাজির পরীক্ষায় তাদের উপস্থিতি ছিল না, এবারও তাই ঘটেছে। কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ বর্মা জানিয়েছেন, তারা প্রতিটি থানাকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। তবে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে সঠিক মনিটরিং এর অভাব রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এছাড়াও, পরিবেশবিদরা অভিযোগ করেছেন যে, বৈধ বাজারের বাইরে বাজি বিক্রি হচ্ছে, যা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের লঙ্ঘন। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তবে, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সদস্যদের অনুপস্থিতি বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তাই এবারের কালীপুজো নিয়ে সকলের মধ্যে উৎকণ্ঠা বেড়ে গেছে।

কালীপুজোর আগে বাজি ফাটানো কেন নিষিদ্ধ?

বাজি ফাটানো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এবং এটি জনস্বাস্থ্যকে ক্ষতি করে। তাই কালীপুজোর আগে বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ।

পুলিশ এই বিষয়ে কি ব্যবস্থা নিচ্ছে?

পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পর তৎপর হয়েছে। তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে নজরদারি করছে এবং আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

বাজি ফাটানোর ফলে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে?

বাজি ফাটানোর ফলে শব্দদূষণ, বায়ূদূষণ এবং আগুন লাগার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়া, অনেক মানুষের শারীরিক সমস্যা হতে পারে।

শহরের জনগণ কি পদক্ষেপ নিতে পারে?

জনগণ যদি বাজি ফাটানোর অভিযোগ দেখে, তবে তাদের উচিত পুলিশ বা স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো। সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।

বাজি ফাটানো বন্ধ করার জন্য কি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে?

সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থা সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে এবং আইন প্রয়োগে কঠোর হচ্ছে।

Leave a Comment