কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে সায়ন লাহিড়ির মুক্তি, যুবকদের জয়!

কলকাতা হাইকোর্ট নবান্ন অভিযানের আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়িকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে। এই রায়ের ফলে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী উল্লসিত হয়েছেন এবং তিনি সায়নের মুক্তিকে যুবকদের জয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সায়নকে গত শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছিল, যা নিয়ে আদালতে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ওঠে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা উল্লেখ করেন, রাজ্য সরকার সায়নের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি যে তিনি অশান্তির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আদালত নির্দেশ দিয়েছে দ্রুত সায়নকে মুক্তি দিতে এবং রাজ্য সরকারকে হলফনামা পেশ করতে। সায়নের মুক্তির খবর রাজ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, যা তরুণদের প্রতিবাদের কণ্ঠস্বরকে শক্তিশালী করেছে।



কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে সায়ন লাহিড়ির মুক্তি

কলকাতা হাইকোর্ট নবান্ন অভিযানের অন্যতম আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়িকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পর বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী উল্লসিত হয়েছেন। সায়ন নিজেকে অরাজনৈতিক বললেও, তাঁর মুক্তির খবর শুনে শুভেন্দু এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ এগিয়ে চলো।” তিনি তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যে রাজ্যে অন্যায় ও অরাজকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে।

শুক্রবার দুপুরে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা সায়নকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, তাঁকে মুক্তি দেওয়ার সময়সীমা হিসাবে শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। হাইকোর্ট জানায়, সায়নের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না এবং আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্য সরকারকে হলফনামা জমা দিতে হবে।

শুক্রবার সায়নকে গ্রেফতার করার ঘটনার পর, পুলিশ দাবি করেছিল যে নবান্ন অভিযানের জন্য অনুমতি ছিল না এবং সায়ন উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছেন। তবে হাইকোর্ট পুলিশের এই দাবি খণ্ডন করে। বিচারপতি সিনহা প্রশ্ন তুলেন যে, সায়ন কি আসলেই প্রভাবশালী? রাজ্য সরকার এই বিষয়ে কোন তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেনি।

সায়নের মুক্তি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “সম্মানীয় আদালতের হস্তক্ষেপের ফলে যুবকদের প্রতিবাদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।” তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে এই সময়টাকে যুবকদের জয় হিসাবে পালন করা হবে।

শুভেন্দু অধিকারী কে?

শুভেন্দু অধিকারী একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলের নেতা।

সায়ন কি?

সায়ন হল একজন যুবক যাকে রাজনীতির বাইরে রেখে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শুভেন্দুর উল্লাসের কারণ কি?

শুভেন্দু সায়নের মুক্তি নিয়ে উল্লসিত কারণ তিনি মনে করেন এটি একটি সঠিক সিদ্ধান্ত।

এটি কেন ‘অরাজনৈতিক’ বলা হচ্ছে?

এটি ‘অরাজনৈতিক’ বলা হচ্ছে কারণ মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়াটি রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত।

এখন শুভেন্দুর পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে?

শুভেন্দু আরও লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সংকল্প করেছেন এবং রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে চান।

Leave a Comment