কঙ্গনার বিয়ে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ও নাটকীয় পরিস্থিতি

কঙ্গনা রানাওয়াত বিয়ে নিয়ে তাঁর মতামত জানিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি আদালতে বলেছেন যে নেতিবাচক প্রচারের কারণে বিয়ে করার ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কঙ্গনা মজা করে বলেন, যখনই তাঁর সম্পর্কের কথা আসে, পুলিশ এসে হাজির হয় এবং তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। কঙ্গনা বিয়ে নিয়ে বলেন, সবার একজন সঙ্গী থাকা উচিত এবং সন্তান জন্ম দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বর্তমানে তাঁর নতুন ছবি ‘ইমার্জেন্সি’র জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যেখানে তিনি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করবেন। সম্প্রতি কঙ্গনার ওপর হামলার ঘটনাও আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করেছে।



কঙ্গনা রানাওয়াত তাঁর বিয়ে নিয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি এক আদালতের শুনানিতে, বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা জানিয়েছেন যে, চারপাশের নেতিবাচক প্রচার তাঁর বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি মজা করে বলেন, পুলিশ যখন তাঁকে তলব করেছিল, তখন তাঁর শ্বশুরবাড়ির সবাই পালিয়ে গিয়েছিল।

বিয়ে নিয়ে কঙ্গনা রানাওয়াতের দৃষ্টিভঙ্গি

একটি শোতে দর্শক যখন জানতে চান, তিনি রাজনীতিবিদ নাকি অভিনেতাকে বিয়ে করতে চান, তখন কঙ্গনা লজ্জা পেয়ে বলেন, ‘এখন, আমি কী বলব? বিয়ে নিয়ে আমার মতামত পরিষ্কার, আমি মনে করি প্রত্যেকের একজন সঙ্গী থাকা উচিত। তবে আমার বিরুদ্ধে এত কুৎসা হয়েছে যে আমি বিয়ে করতে পারছি না। আদালতে অনেক মামলা রয়েছে, এবং যখনই কারুর সঙ্গে আমার সম্পর্ক তৈরি হয়, তখন পুলিশ এসে হাজির হয়। এসব দেখে আমার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পালিয়ে যায়।’ এরপর তিনি বলেন, ‘আমি শুধু মজা করছি।’

আরও পড়ুন: ‘দলেও ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মতো Casting Couch রয়েছে’, এমন মন্তব্যে সিমি রোজবেলকে বহিষ্কার করল কেরালা কংগ্রেস

কঙ্গনা রানাওয়াতের কাজের সম্পর্কে

কঙ্গনা তাঁর পরবর্তী ছবি ‘ইমার্জেন্সি’র মুক্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই ছবিতে তিনি প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করবেন। ছবিতে আরও রয়েছেন অনুপম খের, মহিমা চৌধুরী, মিলিন্দ সোমান, শ্রেয়াস তালপাড়ে, বিশাক নায়ার এবং প্রয়াত সতীশ কৌশিক। ছবিটি ১৯৭৫ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার সময়ের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে।

আরও পড়ুন: অভিনয়ে ‘না’, আইআইএম আহমেদাবাদে ভর্তি হলেন নভ্যা নভেলি নন্দা, কী কোর্স করছেন অমিতাভের নাতনি?

উল্লেখ্য, মান্ডি লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে কঙ্গনা কংগ্রেসের বিক্রমাদিত্য সিংকে ৭৪,৭৫৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। তবে ভোটে জেতার পর তাঁর সঙ্গে ঘটে গেছে এক অপ্রত্যাশিত কাণ্ড। চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে বিজেপির নবনির্বাচিত সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াতকে প্রকাশ্যে চড় মারার ঘটনায় দেশজুড়ে বেশ আলোচনা চলছে। সিআইএসএফ-এর এক মহিলা জওয়ান কঙ্গনাকে চড় মারেন কৃষক আন্দোলন নিয়ে তাঁর মন্তব্যের কারণে। এই ঘটনার পর দেশ কার্যত দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। মহিলা জওয়ানের সমর্থনে অনেকেই সোচ্চার হলেও, অন্যদিকে অনেকেই কঙ্গনার কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন।

প্রশ্ন ১: কঙ্গনা বিয়ের বিষয়ে কি কথা বলেছেন?

উত্তর: কঙ্গনা বলেছেন যে, তার শ্বশুরবাড়ির লোক পালিয়ে যায়, যা বিয়ের নিয়ে কিছু গোপন তথ্য প্রকাশ করে।

প্রশ্ন ২: কঙ্গনার এই কথা বলার কারণ কি?

উত্তর: তিনি বিয়ের সম্পর্কের জটিলতা এবং মানুষের মনোভাব নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছেন।

প্রশ্ন ৩: এ খবর কি শুধু কঙ্গনার জন্য, নাকি আরো কেউ এই পরিস্থিতিতে আছে?

উত্তর: এটা সাধারণ একটি সমস্যা, অনেকেরই বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির লোকদের সাথে সম্পর্ক ভালো থাকে না।

প্রশ্ন ৪: কঙ্গনার বক্তব্যে কি নতুন কিছু শিখার আছে?

উত্তর: হ্যাঁ, তিনি সম্পর্কের সত্যিকারের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেছেন, যা অনেকের জীবনেই ঘটে।

প্রশ্ন ৫: এই ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলার কি উপায় আছে?

উত্তর: সম্পর্ক ভালো রাখতে খোলামনে আলোচনা করা এবং একে অপরকে বুঝতে চেষ্টা করা জরুরি।

Leave a Comment