আলো নিভিয়ে প্রতিবাদ: কোচবিহারে হামলা ও “জাস্টিস ফর আরজি কর” দাবি

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে দেশজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বুধবার রাতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এসে “জাস্টিস ফর আরজি কর” স্লোগান দিতে থাকেন। কোচবিহারের মাথাভাঙায় শিল্পী ও সাহিত্যিকরা প্রতিবাদে অংশ নেন, কিন্তু সেখানে হামলা চালায় তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা। প্রতিবাদকারীদের উপর অত্যাচার ও গালিগালাজের অভিযোগ উঠেছে। হামলার সময় কিছু সাধারণ মানুষ প্রতিবাদকারীদের রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন। অন্যদিকে, প্রতিবাদীরা সাগরদিঘি চত্বরে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। কলকাতার বিভিন্ন স্থানে মোমবাতি ও প্রদীপ হাতে সাধারণ মানুষ ন্যায়ের দাবি জানান। তাদের একটাই দাবি, “উই ওয়ান্ট জাস্টিস”।



আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তাল দেশ

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সারা দেশে ঝড় উঠে গেছে। বুধবার রাতে হাজারো মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের ডাকে আলো নিভিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয়। কোচবিহার থেকে কলকাতা, সর্বত্রই ছিল প্রতিবাদের আওয়াজ। এর মধ্যেই কোচবিহারের মাথাভাঙায় ঘটে এক ভয়াবহ ঘটনা।

মাথাভাঙায় প্রতিবাদে অংশ নেন শিল্পী ও সাহিত্যিকরা। রাজপথে লেখা হয় “জাস্টিস ফর আরজি কর”। কিন্তু সেই রাতেই হামলার শিকার হন প্রতিবাদকারীরা। অভিযোগ উঠেছে, হামলার পেছনে তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের হাত রয়েছে। হামলার সময় তারা উপস্থিত ছিলেন বলেও খবর পাওয়া গেছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, তৃণমূলের পরিচিত নেতারা প্রতিবাদকারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। স্থানীয় এক বাম কর্মীকে মারধর করা হয়, যিনি অরাজনৈতিকভাবে প্রতিবাদে এসেছিলেন। তিনি একজন চিত্রশিল্পী এবং রাজপথে আলপনা করেছিলেন। হামলাকারীরা “জাস্টিস ফর আরজি কর” লেখাটি মুছে দেয়। এটা ছিল দাদাগিরির চরম উদাহরণ।

একজন বয়স্ক পুরুষ ও মহিলা ওই শিল্পীকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসেন এবং হামলাকারীদের প্রশ্ন করেন, কেন তারা মারছেন। কিন্তু হামলাকারীরা কাউকে দয়া করেনি।

এই কোচবিহারে প্রতিবাদের সুর আরও চড়া করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। তাহলে কি তাঁর উসকানিতে মাথাভাঙায় হামলা চালানো হলো?

মাথাভাঙার রাস্তায় সাদা রঙে লেখা হয়েছিল “We want justice”। তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা সেই লেখাও মুছে ফেলেন। প্রশ্ন উঠেছে, কি নেতাদের নির্দেশে এই হামলা হলো? যারা এই ঘটনা ঘটাল তাদের কি গ্রেফতার করবে পুলিশ?

এদিন যখন এই ঘটনা ঘটে, কোচবিহারের সাগরদিঘি চত্বরেও প্রতিবাদ চলছিল। খবর পেয়ে সেখানে থাকা প্রতিবাদকারীরাও ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন।

বিশ্বজিৎ রায়, তৃণমূলের নেতা বলেন, “নন পলিটিকাল ব্যানারে রাজনীতি করছে ওরা। এর পেছনে বিজেপি-সিপিএম রয়েছে। তারা জাস্টিস চাইছে না। আমরা চক্রান্ত রুখছি।” মারধর এবং স্লোগান মোছার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কিছুই তো হয়নি।”

তবে এদিন রাতে কলকাতায় ভিক্টোরিয়া এবং রাজভবনে আলো নিভে যায়। সারি সারি ফ্ল্যাটে, কলকাতার বস্তি এলাকাতেও নিভে যায় আলো। প্রতিবাদে গর্জে ওঠে কলকাতা। সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমে আসেন, কারো হাতে মোমবাতি, কারো হাতে প্রদীপ। সবাই একসঙ্গে স্লোগান দেন “উই ওয়ান্ট জাস্টিস”।

প্রশ্ন ১: প্রতিবাদকারীদের উপর হামলা কেন হলো?

উত্তর: প্রতিবাদকারীরা কিছু দাবিতে প্রতিবাদ করছিলেন, তখন তৃণমূলের কিছু কর্মী তাদের উপর হামলা চালায়।

প্রশ্ন ২: হামলার সময় পরিস্থিতি কেমন ছিল?

উত্তর: হামলার সময় সেখানে অনেক মানুষ ছিল এবং পরিস্থিতি খুবই উত্তেজনাপূর্ণ ছিল।

প্রশ্ন ৩: প্রতিবাদকারীদের কি আহত হয়েছে?

উত্তর: হ্যাঁ, হামলার কারণে কিছু প্রতিবাদকারী আহত হয়েছেন এবং তাদের চিকিৎসা প্রয়োজন।

প্রশ্ন ৪: পুলিশের ভূমিকা কি ছিল?

উত্তর: পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল, কিন্তু হামলার সময় তারা কার্যকরী ভূমিকা পালন করেনি।

প্রশ্ন ৫: এই ঘটনার বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে?

উত্তর: ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও অভিযোগ করা হচ্ছে, এবং বিচার বিভাগের মাধ্যমে ন্যায় বিচারের দাবি জানানো হচ্ছে।

Leave a Comment